কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার নিচ এখন ময়লার ভাগাড়, ভোগান্তি

অজয় সরকার ঝুটন, কোনাবাড়ি প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২, ১২:৪৫ পিএম
কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার নিচ এখন ময়লার ভাগাড়, ভোগান্তি

ফ্লাইওভার নয় যেন ময়লার ভাগাড় এমন চিত্র এখন গাজীপুর সিটি কর্পোরশনের কোনাবাড়ি ফ্লাইওভারে নিচে। খন্ড খন্ড জায়গায় ময়লার স্তুপ, কেউ বা আবার প্রাকৃতিক কাজ সারছে ফ্লাইওভারের নিচে। আর এতে চরম ভোগান্তীতে স্থানীয় লোকজন ও পথচারী।

যত্রতত্র ময়লার স্তুপ দেখে মনে হবে এটা কোন ময়লার ভাগাড় কিন্তু না। ঢাকা-টাংগাইল মহাসড়কের গাজীপুর কোনাবাড়ি ফ্লাইওভারে নিচের বর্তমান চিত্র এখন এমন। ২০১৯ সালের ২৫ মে ২শত ১০কোটি ৫৩ লক্ষ টাকায় নির্মান করা হয় এই কোনাবাড়ি ফ্লাইওভার। ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পর থেকে অনেকটাই অযত্ন অবহেলায় পরে আছে ফ্লাইওভারের নিচের অংশ। কর্তৃপক্ষ অনেকটাই দায় সারা ভাবে চলছে। উদ্বোধনের তিন বছর পাড় হয়ে গেলেও এখনও ফ্লাইওভারের নিচে দেওয়া হয়নি স্টিলের রেলিং এতে যে কেউ নিজ নিজ ইচ্ছা মতো ফ্লাইওভারের নিচে অংশে ময়লা আবর্জনা ফেলছে কেউবা আবার প্রাকৃতিক কাজ সারছে। এতে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে ফ্রাইওভারের। ফ্লাইওভারের আশ-পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে তারাও ক্ষুব্ধ।

স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা বলেন, ফ্লাইওভারের নিচে বসছে দোকানপাট, কোনাবাড়ি বাজারের কাঁচা মালের ময়লা ফেলা হচ্ছে ফ্লাইওভারের নিচে। এতে ময়লার দুর্গন্ধ অতিষ্ঠ তারা।

স্থানীয় সাংবাদিক ও পরিবেশবাদী রেজা চৌধুরী বলেন, কোনাবাড়ি ফ্লাইওভারের নিচের এমন দুরবস্থা জন্য গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ কে দায়ী করলেন।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অনন্ত সূত্রধর বলেন, নগরীর ফ্লাইওভারের নিচে এমন ময়লা আবর্জনা থাকায় ফুসফুস জনিত রোগব্যাধি বাড়তে পারে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৭ সভাপতি সেলিম রহমান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ হতে বারবার বলার পরও কোনাবাড়ি কাঁচা মালের ব্যবসায়িরা শুনছে। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দিলেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর, গাজীপুরের উপ-পরিচালক নয়ন মিয়া বলেন, ফ্লাইওভারের নিচে গৃহস্থালি বর্জ্য ময়লা ফেলার বিষয়টি দেখবে সিটি কর্পোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর আমরেলা আগ্রাসেশন হিসাবে শুধু চিঠি দিতে পারে।

সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজরে নিয়ে দ্রুত ময়লা অপ্রসারন করে কোনাবাড়ি ফ্লাইওভারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে এমটা দাবি কোনাবাড়ি এলাকাবাসী ও পথচারীর।

কেএস