জিগ-জ্যাগ ইট ভাটা পরিচালনার অনুমতি চান মালিকরা

শুভ কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জ প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২, ০৫:১৪ পিএম
জিগ-জ্যাগ ইট ভাটা পরিচালনার অনুমতি চান মালিকরা

সিরাজগঞ্জে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন-২০১৯ এ বর্নিত জিগ-জ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও ২০৩০ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং কয়লা সংকট সমাধানের জন্য ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির ব্যানারে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ভাটা মালিকরা।

রোববার (২৭ নভেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে (জজ কোর্ট চত্বরে) বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে জেলার প্রত্যক ইট ভাটা মালিক ও শ্রমিকেরা জিগ-জ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র, লাইসেন্স প্রাপ্তি ও কয়লা সংকট সমাধানের জন্য এবং ইট ভাটা চালু রাখার দাবিতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী এই মানববন্ধন করেন।

এছাড়াও মানববন্ধন শেষে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গনপতি রায় এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এসময় ইট ভাটার শ্রমিকরা জানান, ইট ভাটা বন্ধ হলে কাজ দিবে কে, কর্ম করে সংসার চালাই, যদি ইট ভাটা বন্ধ হয় তাহলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। আমাদের দাবি, ইট ভাটা চালু রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

সিরাজগঞ্জ জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সদস্য ও রায়গঞ্জ ইটভাটা মালিক সমিতির উপদেষ্টা এমদাদুল হক এমদা বলেন, আমাদের ইট ভাটার মালিক সমিতির মালিকদের দোষ কোথায়, জেলায় মোট  বৈধ ১৪০ টি ইটভাটা রয়েছে। রাজস্ব খাত, ইনকাম ট্যাক্স ও নিয়ম কানুন মেনেই ইট ভাটা পরিচালনা করি। এছাড়াও শ্রমিকদের কর্মসংস্থান গড়ে তোলা হয়েছে। আমাদের ইট ভাটা বন্ধ থাকলে শ্রমিক সহ ভাটার মালিকেরা বিশাল হুমকির সম্মুখীন হবে।

সিরাজগঞ্জ জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়লা নেই, এলসি নেই, জালানি সংকট। এ সকল সমস্যা সমাধানে ও ভাটা চালু রাখার দাবিতে আমরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছি। আমরা ২০৩০ সাল পর্যন্ত জিগ-জ্যাগ ইট ভাটা পরিচালনার অনুমোদন চাই।

সিরাজগঞ্জ জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা তালুকদার বলেন, জেলায় ৫০ হাজার এর মতো শ্রমিক ইট ভাটায় কাজ করে তারপরও ছারপত্র দেওয়া হয় না। কিন্তু ভ্যাট, ইনকাম ট্যাক্স আদায় করে। কয়লা আমদানিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কয়লা সংকট দুর করতে হবে। কুচক্রী মহলের কোন পরামর্শ না নিয়ে দেশের জনগণের স্বার্থে, শ্রমিকের স্বার্থে আমাদের দাবি সুনিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি। 

এআই