অভয়নগরে দেবে গেছে সড়ক, দুর্ভোগ চরমে

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
অভয়নগরে দেবে গেছে সড়ক, দুর্ভোগ চরমে

যশোরের অভয়নগরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি সড়কের আধা কিলোমিটার বেহাল হয়ে পড়ে আছে। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটার অংশ দুই থেকে তিন ফুট পরিমাণ দেবে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। জনগণকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।

উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, সড়কটি আলীপুর আরএইচডি-সুন্দলী জিসি ভায়া রাজাপুর মোড়, রামসরা ধাম ও হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৭.৬২ কিলোমিটার। যা নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা। সড়কের এক প্রান্ত আলীপুর নামক স্থানে এসে যশোর-খুলনা মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যশোর-খুলনা মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হওয়া সড়কটি আলীপুর এলাকা থেকে প্রায় ৮০০ মিটার দূরত্বে বেহাল অবস্থা শুরু। যার আধা কিলোমিটার ২ থেকে ৩ ফুট পরিমাণ দেবে গেছে। আর সেই দেবে যাওয়া সড়কের দুই পাশে রয়েছে শত শত মাছের ঘের। ঘেরগুলো পেরিয়ে সুন্দলী ইউনিয়নের রামসরা গ্রামে পৌঁছালে দেখা মেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রূপ সনাতন তীর্থ ধাম ও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

আলীপুর গ্রামের মৎস্যঘের মালিক সফি কামাল, শহিদুল ইসলামসহ এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দেবে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দপ্তর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যে কারণে দেবে যাওয়া আধা কিলোমিটার সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মৎস্যঘের মালিকসহ সাধারণ মানুষ। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।    

সুন্দলী ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল বলেন, শত শত মাছের ঘের, সনাতন ধর্মের তীর্থ ধাম, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ১০ গ্রামের মানুষ চলাচলের একমাত্র সড়কটি বেহাল হয়ে আছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে সড়কের দেবে যাওয়া অংশের দুই পাশে প্যালা সাইডিং করে দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু করতে হবে। তাহলেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।  

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল হুদা বলেন, অভয়নগরে সদ্য যোগদান করেছি। ইতোমধ্যে ওই সড়কের দেবে যাওয়া অংশ পরিদর্শন করেছি। চলতি বছরের জুন মাসের পর সংস্কার কাজ শুরু হবে। সঠিক ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে।

ইএইচ