পেঁয়াজের দামে হতাশ বিরামপুরের চাষিরা

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২২, ০২:১৯ পিএম
পেঁয়াজের দামে হতাশ বিরামপুরের চাষিরা

বাজারে উঠেছে আগাম জাতের বারি পেঁয়াজ। চারা পেঁয়াজ বাজারে আসার আগে বারি জাতের পেঁয়াজ চাষ করে গত কয়েক বছর লাভ পেলেও এবার দাম কম হওয়ায় হতাশ দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার চাষিরা। এ অঞ্চলে এটি ‍‍`বারি‍‍` পেঁয়াজ হিসেবে পরিচিত।

চলতি বছর প্রতিমণ বারি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা দরে। গত বছর এর দাম ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা।

বিরামপুর নতুন বাজারে কয়েকজন চাষির সাথে কথা হলে তারা জানান, এ বছর প্রতি বিঘায় বারি পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ২৫ শতাংশ নষ্ট হয়। ফলে বিঘাপ্রতি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৩২ হাজার টাকার।

এমন পরিস্থিতিতে তাদের বেশি দামে বীজ ও অন্যান্য সামগ্রী কিনে চারা পেঁয়াজ আবাদ করতে হচ্ছে।

বারি পেঁয়াজের দাম নিয়ে যখন হতাশ বিরামপুরের  চাষিরা তখন চারা পেঁয়াজ আবাদ করতে তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

পেঁয়াজ চাষি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‍‍`গত বছর ঘরে বীজ ছিল। এ বছর বীজ কিনতে হয়েছে।‍‍`

তিনি জানান, গত বছর এক কেজি বীজ ৪ হাজার টাকার মধ্যে কেনা গেলেও এ বছর স্থানীয় দেশী জাতের বীজ কিনতে হচ্ছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা কেজি দরে। হাইব্রিড পেঁয়াজের বীজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৫ হাজার টাকার বেশি।

তার মতে, এতো টাকা দিয়ে বীজ কিনে পেঁয়াজ চাষ করতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। বীজের চড়া দামের পাশাপাশি সেচ, সার, কীটনাশকের দামও বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজ চাষের খরচ বিঘাপ্রতি ৫ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা বেশি হচ্ছে।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিক্সন চন্দ্র পাল জানান, এ উপজেলায় গত কয়েক বছর ধরে বাড়ছে পেঁয়াজের চাষ। এবার উপজেলায় ফলন ভালো হয়েছে। তবে পেঁয়াজের বাজার দর বৃদ্ধি পেলে চাষিরা লাভবান হবেন। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবছর  উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে এবং প্রতিটি জমিতে ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।

এসএম