ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচেষ্টা ব্লাড ব্যাংক শাখার কর্মসূচি বাস্তবায়ন

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩, ০৬:৩৪ পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচেষ্টা ব্লাড ব্যাংক শাখার কর্মসূচি বাস্তবায়ন

প্রচেষ্টার অঙ্গীকার "রক্তের অভাবে মারা যাবেনা কেউ আর "এই স্লোগানে ২০১৭ ‍সালের ১০ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয় প্রচেষ্টা ব্লাড ব্যাংক (PBB) বাংলাদেশ (রক্তদাতাদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন) প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রক্ত দানের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে প্রচেষ্টা ব্লাড ব্যাংক (PBB)

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের (বড় মাঠে) ঠাকুরগাঁও প্রচেষ্টা ব্লাড ব্যাংক (PBB) শাখার মাসিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং ঠাকুরগাঁও প্রচেষ্টা ব্লাড ব্যাংক (PBB) শাখার সদস্যদের মাঝে বার্ডে সেলিব্রেশন উপলক্ষে ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আবু বক্কর সুমন। তিনি বলেন, পৃথিবীতে এখনো কৃত্রিম রক্ত তৈরি করা সম্ভব হয়নি। আর এ কারণেই মানুষের জীবন-মরণ নির্ভর করছে শুধুই স্বেচ্ছায় দান করা এক ব্যাগ রক্তের ওপর। নির্দিষ্ট সময় পর পর রক্তদানের অভ্যাসে একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে না বরং তা শরীরকে আরও সুস্থ করে তোলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রক্ত দান করলে শরীরের অস্থিমজ্জা নতুন রক্তকণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়।

উক্ত কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল রানা, কেন্দ্রীয় তত্বাবধায়ক মো. আদনান হোসেন, সভাপতি মো. হৃদয় ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. লিমন ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোছা. আরফিন মীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহবুব আলম, যুগ্ম সম্পাদক মো. আদিল মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক মোছা. লিয়া আক্তার সহ ঠাকুরগাঁও প্রচেষ্টা ব্লাড ব্যাংক (PBB) শাখার সকল সদস্য বৃন্দ।

প্রচেষ্টা ব্লাড ব্যাংক (PBB)বাংলাদেশ (রক্তদাতাদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন) এর আহবান, পক্ষ থেকে সকলকে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, আপনারা স্বেচ্ছায় রক্ত দানে এগিয়ে অসুন। কারণ, নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে বছরে তিনবার রক্ত দিলে শরীরে নতুন লোহিত কণিকা তৈরির হার বেড়ে যায়, এতে অস্থিমজ্জা সক্রিয় থাকে, দ্রুত রক্ত স্বল্পতা পূরণ হয়, নিয়মিত রক্ত দিলে কোলস্টেরলের মাত্রা কমে যায়, কোলস্টেরল যে কতটা ক্ষতিকর তা বলার অপেক্ষা রাখে না, কোলস্টেরল বেশি হলে রক্তনালিতে জমে রক্তনালি সংকুচিত হয়, এতে রক্ত চলাচল বিঘ্নিত হয়ে দেখা দেয়, হার্ট অ্যাটাকসহ অন্যান্য হৃদরোগ, স্ট্রোক। নিয়মিত রক্তদান করলে এগুলো থেকে রক্ষা পাওয়া যেমন সম্ভব, তেমনি দেশে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত কারণে ও রক্তের অভাবে মারা যাওয়ার সংখ্যাও কমে যাবে।

আরএস