আজকের শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের সারথী হচ্ছেন শেখ হাসিনা: পলক

নাটোর প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩, ০৭:৪৯ পিএম
আজকের শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের সারথী হচ্ছেন শেখ হাসিনা: পলক

তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এড. জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, একজন আলোকিত মানুষ গোটা বিশ্বকে পরিবর্তন করতে পারে। আজকের শিক্ষার্থীরা শুধু সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা নেবে না তারা উদ্যোক্তা হয়ে সরকারকে সহযোগিতা করবে। 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আজকের শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের সারথী হচ্ছেন শেখ হাসিনা। এই শিক্ষার্থীরাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

নাটোরের সিংড়ায় ১২দিনব্যাপী ‘চলনবিল শিক্ষা উৎসবের-২০২৩’ ৮ম দিনে সিংড়া রতœ সম্মাননা, রত্মগর্ভা মা সম্মাননা, মরণোত্তর গুণীজন সম্মাননা, অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক সম্মাননা, শতভাগ পাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্মাননা, অদম্য মেধাবী সম্মাননা, কর্ম জীবনে সফল যারা কেমন তারা সম্মাননাসহ ১৬ ক্যাটাগরিতে ১৬৫৯ জনকে সম্মাননা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সিংড়ার রত্ম সম্মাননা দেওয়া হয় বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি, সিংড়া উপজেলার হুলহুলিয়া গ্রামের সন্তান জনাবা ফাহমিদা কাদের ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব, সিংড়া উপজেলার নিমাকদমা গ্রামের সন্তান জাকিয়া সুলতানাকে। এছাড়া রতœগর্ভা মা সম্মাননা, মরণোত্তর গুণীজন সম্মাননা, অবসরপ্রাপ্ত ও স্মার্ট শিক্ষক সম্মাননা, উপজেলা স্মার্ট ও শতভাগ পাশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্মাননা, কর্ম জীবনে সফল যারা, কেমন তারা ও অদম্য মেধাবী সম্মাননা এবং শিক্ষা উৎসবের গণিত ও ইংলিশ ক্যাম্প সেরা এবং কৃতি ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। 

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষা ব্যয়কে খরচ নয় বিনিয়োগ বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরী করে দেন। ফলশ্রুতিতে বদলে গেছে বাংলাদেশ। বিগত ১৪ বছরে তথ্য প্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। ধারাবাহিক পথ পরিক্রমায় এখন আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছি। নতুন নতুন উদ্ভাবনের ফরে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে বিশ্ব। বদলে যাচ্ছে উন্নয়নের ধারণা পরিবর্তনের এই হাওয়া বাংলাদেশের পালেও লেগেছে।  আমাদের এবারের স্বপ্ন, জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের উন্নত, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ-এই চারটি ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, সিংড়ায় ৫ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে বিগত ৫০ বছরেও তা হয়নি। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট, ক্লিন করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা জ্ঞান ভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। শিক্ষার প্রসার ঘটাতে আমরা ১২দিনব্যাপী শিক্ষা উৎসব করছি। অর্থাভাবে কারো লেখাপড়া যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য আমাদের এই শিক্ষা উৎসব। শিক্ষার্থীদের স্মার্ট হতে হবে, উদ্যোমী হতে হবে, সাহসী হতে হবে। শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শেষ করে যাতে চাকুরির জন্য দৌঁড়াতে না হয় সেজন্য আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ডিজিটাল হাব, আইসিটি পার্ক উপহার হিসেবে এনেছি।

পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মাইক্রো প্রসেসর ডিজাইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিকস এবং সাইবার সিকিউরিটি-এই চারটি প্রযুক্তির বিকাশ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যে কাজ শুরু হয়েছে। এই লক্ষ্যে প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে গ্রীণ, ক্লিন, সেফটি এবং স্মার্ট করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব সুবিধা গ্রহন করে আজকের প্রজন্মের শিক্ষার্থীরাই সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি জনাবা ফাহমিদা কাদের, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. আতিকুল ইসলাম।এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মো. ওহিদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ও চলনবিল শিক্ষা উৎসব বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা রুহুল আমিন প্রমুখ।

আরএস