শৈশবের স্মৃতি পিছুটানে

ট্রেনের যাত্রী এমপি নূর মোহাম্মদ

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩, ১০:৪৩ এএম
ট্রেনের যাত্রী এমপি নূর মোহাম্মদ

‘ঝক ঝক ঝক ট্রেন চলেছে রাত দুপুরে অই। ট্রেন চলেছে, ট্রেন চলেছে ট্রেনের বাড়ি কই?’-শামসুর রাহমানের ছোট্ট বেলার সেই ট্রেন কবিতাটির কথা মনে পড়ে যায়। ট্রেন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম সাধারণ জনগণের কাছে।

উন্নত দেশে পাবলিক যানবাহনে করে যাতায়াতের অনেক রাজনৈতিক নেতা বা মন্ত্রীদের ছবি আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখি, অনেক সময়। তবে এটি শুধু হয়ে থাকে ক্ষণিকের জন্য। 

তেমনি একজন ব্যতিক্রম নেতার কথা বলবো, যিনি কিনা একাধারে ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব।

তিনি কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ। প্রায় সময়ই তিনি নিজের প্রাইভেটকার রেখে গ্রামের বাড়ি কটিয়াদী উপজেলা চান্দপুর ইউনিয়নের মানিকখালী রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে করে যাতায়াত করেন রাজধানী ঢাকায়।
রেললাইনের পাশেই ৪০০ মিটার সামনে ছোট্ট একটি গ্রাম চান্দপুর ইউনিয়নের মীরেরপাড়া। সেখানে জন্ম দেশের এই কৃতিসন্তানের। ছোট্ট সেই বালকটি আজ একজন সংসদ সদস্য।

ছোট্ট বেলার সেই যে ট্রেনে চড়বার স্বপ্ন তার মনের মাঝে আজও বিরাজমান। সাধারণত দেশের ভিআইপি লোকদের দেখা যায়না এভাবে পাবলিক যানবাহনে যাতায়াত করতে।

সাংসদ ট্রেনে যাতায়াতের সময় যাত্রাপথে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করে জানতে চান তাদের চাওয়া পাওয়ার কথা। 

ট্রেনে যাতায়াতের জন্য তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সেবার মান ও আসন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

দেশেরএ কৃতিসন্তানকে পাবলিক পরিবহেন থেকে অনেকেই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে স্থানীয় সাংসদ নূর মোহাম্মদ এর সঙ্গে নিজের মোবাইলে তোলেন সেলফি। ছোট্টোবেলার সেই শৈশব তাঁকে এখনো পিছুটানে।

স্থানীয় সাংসদের অনুরোধে উপজেলার গচিহাটা ও মানিকখালী স্টেশনে এগারোসিন্দুর প্রভাতী, গোধূলী ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রত্যেকটিতে পাঁচটি করে আসন বৃদ্ধি করেছে রেল মন্ত্রণালয়।

সাংসদ সবসময়ই সাধারণ জনগণের কথা বিবেচনা করে কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া আসনের উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। 

সেই সঙ্গে এলাকার শিক্ষার পরিবেশ ও পড়াশোনার মান উন্নয়নে তিনি প্রতিটি ইউনিয়নের বিদ্যালয়, কলেজ পরির্দশন করছেন প্রতিনিয়ত।

এআরএস