ঈদের ছুটির প্রথম দিনেই মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে মোটরসাইকেলের উপচেপড়া ঢল নেমেছে। দেশের দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীরা নিজস্ব গাড়ি, বাস কিংবা মোটরসাইকেলে ছুটছেন গ্রামের বাড়ি। তবে পদ্মা সেতু দিয়ে ২০ এপ্রিলের আগে চলাচলের অনুমতি না থাকায় ফেরিঘাটে যেতে হচ্ছে মোটরসাইকেলকে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) ভোর থেকেই শিমুলিয়া ৪ নম্বর ফেরিঘাটে জড়ো হতে থাকেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ৪ নম্বর ঘাটের পন্টুন থেকে অ্যাপ্রোচ সড়ক পর্যন্ত মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি। একটি ফেরি আসার সঙ্গে সঙ্গে যে যেভাবে পারছেন ফেরিতে উঠছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র রোদের তাপে ঘাটে থাকা মোটরসাইকেল আরোহীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।
যাত্রীরা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালু হবে। তবে ছুটি শুরু হওয়ায় ভোগান্তি এড়াতেই বাড়ির পানে আজই ছুটছেন তারা।
ঢাকা থেকে যশোরগামী মোটরসাইকেল আরোহী ইব্রাহিম হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালু হবে। তবে আজ ছুটি শুরু। ছুটিতে ঢাকায় বসে থেকে লাভ নেই। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারাটাই উত্তম। তাই আজ চলে যাচ্ছি।
বরিশালগামী মোটরসাইকেল আরোহী রুনা বেগম বলেন, সবার সঙ্গে ঈদ করবো। এ জন্য আজই চলে যাচ্ছি। মাত্র পাঁচ দিনের ছুটি পেয়েছি। এ পুরো সময়টাকে পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চাই।’
ইয়াকুব হোসেন বলেন, রোদের মধ্যে আমাদের কিছুটা ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের ভাগাভাগি করতে যাচ্ছি। তাই এ কষ্টটা খারাপ লাগছে না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামাল হোসেন বলেন, আজও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে দুটি ফেরি দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার করা হচ্ছে। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় আজ চাপ বেশি। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপারের।
এআরএস