বরগুনায় ৩০০ মিটার রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে ৪৫ হাজার মানুষ

বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৩, ০৬:১৭ পিএম
বরগুনায় ৩০০ মিটার রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে ৪৫ হাজার মানুষ

বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার তিন ইউনিয়নের ৪৫ হাজার মানুষের জেলা শহরের সাথে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম  কচুপাত্রা বাজার থেকে পচাঁকোড়ালীয়া সুইজ বাজারের সংযোগ রাস্তাটি আর এই রাস্তার পচাঁকোড়ালীয়া মধ্য বাজার সংলগ্ন ৩‍‍`শ মিটার কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা।

এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন দুই তিন হাজার মানুষ চলাচল করে, তিন ইউনিয়নের প্রসূতি মা বৃদ্ধ শিশু অসুস্থ হলে বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এ রাস্তা দিয়ে নিতে যেতে হয়। এই রাস্তা দিয়ে তিন ইউনিয়নের ছাত্র-ছাত্রীরা ঐতিহ্যবাহী চরকগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পচাঁকোড়ালিয়া বাবুআলী দাখিল মাদ্রাসা পচাঁকোড়ালিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় আসা যাওয়া করেন।

জানা যায়, তালতলী উপজেলার  পচাঁকোড়ালিয়া, শারিকখালী, আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাসিয়াসহ তিন ইউনিয়নের ৪৫ হাজার মানুষের বরগুনা জেলা শহরের সাথে যাতায়াতের রাস্তাটি শারিকখালী ইউনিয়নের কচুপাত্রা বাজার থেকে পচাঁকোড়ালীয়া ইউনিয়নের মরহুম এন্তেআলী সরদার বাড়ির পূর্ব সীমানা পর্যন্ত পাকা সেখান থেকে পচাঁকোড়ালীয়া মধ্য বাজার ৩‍‍`শ মিটার রাস্তা কাঁচা মাটির আবার পচাঁকোড়ালীয়া মধ্য বাজার থেকে পচাঁকোড়ালীয়া সুইজ বাজার (পায়রা নদীর) পাড় পর্যন্ত রাস্তা পাকা।

মাঝখানে ৩‍‍`শ মিটার মাটির রাস্তার বেহাল দশা খাদা খন্দর হয়ে গেছে পুরো রাস্তা জুড়ে গাড়ি চলাচল তো দূরে থাক মানুষ হেটে যেতেই পারছে না প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এ রাস্তায়।

তিন, চার মাস পূর্বে স্থানীয় পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বালু ইটের মেগাডাম দিলেও বর্তমানে রাস্তাটি মানুষ চলাচলের উপযোগী নয়।

এ রাস্তা দিয়ে স্থানীয় বাজারেগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্যসামগ্রী কেনাকাটা করতে যাতায়াত করে এলাকাবাসী। জনদুর্ভোগ ও বিড়ম্বনার অবসান ঘটাতে রাস্তার বিষয়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খান বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এই ৩‍‍`শ মিটার রাস্তা মেরামত করে দিয়েছিলাম যাতে সাধারণ মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রীরা চলাচল করতে পারেন। বর্ষা আসার পরে এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে মাহেন্দ্রগাড়ি চলাচল করার কারণে রাস্তাটি এখন নর্দমায় পরিণত হয়ে গেছে একটু বৃষ্টি আসলেই হাটু সমান  পানি থাকে।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ওই ৩‍‍`শ মিটার রাস্তা জেলা শহরের সাথে মানুষের চলাচলের উপযোগী করে দিয়েছিলাম কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা বর্ষা শুরু হওয়ার পর ইট সিমেন্ট বালু বোঝাই মাহেন্দ্রাসহ ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে রাস্তাটির এ অবস্থা।

এ বিষয়ে এলজিইডি প্রকৌশলী মো. ইমতিয়াজ হোসাইন রাসেল বলেন, খোঁজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এআরএস