কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের বেহাল দশা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩, ০২:১৫ পিএম
কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের বেহাল দশা

পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা পর্যন্ত যাতায়তের একমাত্র সড়কের এখন বেহাল দশা। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকসহ স্থানীয়রা।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা বাজার থেকে আলিপুর থ্রি পয়েন্ট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়ক এখন যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোথাও বড় বড় গর্ত আবার অনেক জায়গার পিচ উঠে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় একাধিকবার এ চিত্র ফুটে উঠলে গর্ত ভরাটের কাজ শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

তবে, যত দ্রুত সম্ভব কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করে সড়কটিকে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানান পর্যটকসহ স্থানীয়রা।

সরেজমিনে জানা যায়, পর্যটন নগরী সাগরকন্যা কুয়াকাটার এখন বিশ্বব্যাপী ব্যাপক পরিচিত। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দিন দিন এর গুরুত্ব আরোও বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই স্থানে দাড়িয়ে সূর্যদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য দেখতে ছুটে আসেন দেশ-বিদেশের ভ্রমন পিপাসু পর্যটকরা। কিন্তু কুয়াকাটার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের। বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গা ও খানাখন্দে ভরা এ সড়কে অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। বারবার সংস্কার করা হলেও সড়কটির বেহাল দশার কোনো পরিবর্তন হয়নি। কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাখিমারা বাজার থেকে শেখ রাসেল সেতু পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কে অসংখ্য খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, এ সড়কের সংস্কার কাজের দায়িত্ব পেয়েছিলো “দি রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড” নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। হাইকোর্টের একটি রিটের কারণে এতদিন সংস্কার কাজে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সাম্প্রতি হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ায় এখন সেই অংশের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। তবে, সড়কের কার্পেটিংয়ের সম্পূর্ণ কাজ শুরু হতে আরো কিছু সময় লাগবে বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়।

এ পথে চলাচলকারী গাড়ির চালক ও পর্যটকরা বলেন, পাখিমারা বাজার থেকে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আলীপুর থ্রি পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা একেবারেই নাজেহাল। কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত আসতে ১৫-২০ মিনিটের পথ হলেও সড়কটিতে অসংখ্য খানাখন্দ থাকায় এখন প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা সময় লাগে।

পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ জানান, সড়কটির ১১ কিলোমিটার অংশের সংস্কার কাজে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সাম্প্রতি হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অপসারিত হওয়ায় সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। তবে, আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে সড়কটির কার্পেটিংয়ের কাজও শুরু হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। 

এআরএস