দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিকলীতে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিকলীতে
ছবি: আমার সংবাদ

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জে নিকলী উপজেলায়। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা নিকলীতে ৯ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

বেলা সাড়ে ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, শুক্রবারের তুলনায় শনিবার শীত সামান্য বাড়বে। শুক্রবার কিশোরগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও দিনাজপুরের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ মাসজুড়েই শীত থাকবে। শীতের অনুভূতি কমবে না।

আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানান, গত কয়েক দিন দরে প্রতিদিনই কিশোরগঞ্জে তাপমাত্রা কমছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবারও সূর্যের দেখা মেলেনি কিশোরগঞ্জে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। নিকলীতে ঘন কুয়াশায় আর কনকনে শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনপদ। বেশ কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। মাত্রাতিরিক্ত কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পুরো উপজেলা। একই সঙ্গে কমছে তাপমাত্রা। এতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। দিন দিন এ উপজেলার তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে এবং শীতের তীব্রতা বাড়বে।

রিকশাচালক হিমন মিয়া বলেন, যে কনকনে ঠাণ্ডা আর ঘনকুয়াশা পড়েছে রিকশা বের করে বিপদে পড়েছি। রিকশা হান্ডেল ধরে রাখতে পারছি না। শরীর বরফ হয়ে যাচ্ছে।

দিনমজুর খলিল হোসেন বলেন, এত ঠাণ্ডা কাজে বের না হয়ে কি করি সংসার তো চালাতে হবে। কাজ না করলে বউ বাচ্চাকে কি খাওয়াবো।

এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। উষ্ণ কাপড় না থাকায় অনেকে খড়কুটো পুড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কেউবা আশায় বুক বেধে আছেন এক টুকরো গরম কাপড়ের জন্য।

নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সজীব ঘোষ বলেন, নিকলী হাসপাতালে গত মাসের চেয়ে এ মাসে ১০ থেকে ১২ শতাংশ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়াও আউটডোরে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেড়েই চলছে।

এআরএস