টাঙ্গাইলে পৃথক দূর্ঘটনায় নিহত ৪

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম
টাঙ্গাইলে পৃথক দূর্ঘটনায় নিহত ৪

টাঙ্গাইল সদর ও কালিহাতী উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে সেনাসদস্যসহ দুই জন ও ঘাটাইল উপজেলায় লেগুনার ধাক্কায় ব্যাটারীচালিত অটোরিকশার চালকসহ দুই জন পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন।  

বুধবার (২৪ জানুয়ারী) সকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পয়লা এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক নিরাপত্তা কর্মী  ও সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু রেললাইনের কালিহাতী উপজেলার আনালিয়াবাড়ীর রেল ব্রীজের কাছ থেকে এক সেনা সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

অপরদিকে, বিকালে ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের শহর গোপিনপুরের পেচুয়া নামকস্থানে  লেগুনার ধাক্কায় ব্যাটারীচালিত অটোরিকশার চালকসহ দুই জন নিহত হয়েছেন।  

নিহতরা হলেন, দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে খন্দকার আবুল কালাম (৪০),লক্ষ্মীপুরের চন্দ্র্রগঞ্জ উপজেলার দত্তপাড়া গ্রাামের বাবুল মাস্টারের ছেলে ফখরুল ইসলাম (২০), সে বগুড়া ক্যান্টমেন্টে সেনা সদস্য হিসেবে কর্মররত ছিলেন। অটোরিকশার যাত্রী মোস্তফা মিয়া (৪০), নিহত অটোরিকশা চালকের  পরিচয়  এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  পাওয়া যায়নি।

ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশের এসআই আলী আকবর জানান, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ওই সেনা সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মহাসড়কে যানজট থাকায় ওই সেনা সদস্য বাস থেকে নেমে ট্রেনের লাইনে হাটাহাটির সময় দূর্ঘটনা সংঘটিত হয়। নিহত ওই সেনা সদস্য ৫ দিনের ছুটি শেষে বাড়ি থেকে  ইউনিটে যোগদানের জন্য গাড়িতে নিজ ইউনিটে গমনের পথিমধ্যে এই দূর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু কোন ট্রেনে কাটা পড়েছে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আইনি প্রক্রিয়া  শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও জানান, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পয়লা এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক নিরাপত্তা কর্মী  নিহত হয়েছে।  

ঘাটাইল থানার অফিসার্স ইনচার্জ ( ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান,বুধবার বিকালে ধলাপাড়া থেকে যাত্রী নিয়ে ব্যাটারীচালিত একটি অটোরিকশা সাগরদিঘী যাওয়ার পথে ঘাটাইল- সাগরদিঘি আঞ্চলিক সড়কের পেচুয়া নামক স্থানে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি লেগুনা অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালক নিহত হয়। এসময় আরও তিন জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোস্তফা মিয়াকে মৃত ঘোষনা করেন।

এইচআর