এস আলম সুগার মিলের আগুনের প্রভাব খাতুনগঞ্জে

চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
এস আলম সুগার মিলের আগুনের প্রভাব খাতুনগঞ্জে

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম সুগার মিলে গতকাল থেকে আগুন জ্বলছে। এখনো শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি আগুন।

এদিকে আগুনের প্রভাব পড়েছে নগরীর একমাত্র বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের চিনির বাজারে। বাজারে কেজিপ্রতি ১-২ টাকা বেড়েছে চিনির দাম। গতকাল পর্যন্ত ক্রেতা শূন্য থাকায় দাম কমিয়ে চিনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ব্যবসায়ীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুড়ে যাওয়া চিনি অপরিশোধিত ছিল। এখনো বাজারে আসার উপযোগী নয়। এস আলমের অন্য গুদামে পরিশোধিত চিনি রয়েছে অন্তত ৫০ হাজার মেট্রিকটন। যা রিফাইন বা পরিশোধিত চিনি। বাজার আসার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তা বাজারে আসলে দাম কোন প্রকারে বৃদ্ধি পাওয়ার কথা না।

রমজান উপলক্ষ্যে গত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১৩ লাখ মেট্রিকটন চিনি আমদানি হয়েছে। চিনির কোন ঘাটতি নেই। এরপরেও আগুনের অজুহাতে পণ্যটির দাম বৃদ্ধি করেছেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা।

সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাংলাদেশের ভোগ্যপণ্য বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে ৫-৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠান। গত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৩৫ হাজার ৯৫৫ মেট্রিক টন ১০ প্রকার ভোগ্যপণ্য ডেলিভারি হয়েছে।

এতে কাস্টমসের রাজস্ব আয় হয়েছে চলতি অর্থ বছরে ৩১ হাজার ৮শ ১০ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, রমজান উপলক্ষ্যে সকল ভোগ্যপণ্য দ্রুত খালাস করে দিয়েছি এবং গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছি।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার কাজী ইরজে ইশতিয়াক বলেন, রমজানে আমরা চেষ্টা করবো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে কোন প্রকার বিলম্ব না হওয়ার জন্য।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, কোন প্রকার ভোগান্তি না হওয়া এবং রমজানে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করতে না পারে এজন্য তারা সবসময় কাজ করছেন।

ইএইচ