সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকা ও মসজিদ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।
বুধবার তিনি জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দসহ দুর্গত এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খোঁজখবর নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, "ক্ষতিগ্রস্ত ও দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো একটি মৌলিক দায়িত্ব। জামায়াতে ইসলামী এটিকে ইবাদতের অংশ মনে করে। নামাজ ও রোজার মতোই সমাজে দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো ফরজ দায়িত্ব।"
তিনি আরও বলেন, "জামায়াতে ইসলামী এমন একটি দল, যারা ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার, সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে। আমাদের কাছে রাজনীতি হলো জনসেবা, আত্মউন্নয়নের হাতিয়ার নয়।"
তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি জানান, আমীরে জামায়াত এ বিষয়ে অবহিত এবং তিস্তা পাড়ের মানুষের উন্নয়নে জামায়াত সম্ভাব্য সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
পরিদর্শনকালে মাওলানা হালিম ভোটমারী ইউনিয়নে নিহত ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং জানান, আমীরে জামায়াত ইতোমধ্যে জান্নাতীর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকবেন।
এ সময় অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু বলেন, "তিস্তা পাড়ের মানুষ ইসলামপ্রিয় এবং সবসময় জামায়াতের পাশে রয়েছে। আমরা এই জনপদের সার্বিক উন্নয়নের দাবি জানাচ্ছি।"
পরিদর্শন শেষে তিস্তা নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেন মাওলানা হালিম। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, নদীতে সোলার প্যানেল প্রকল্পের কারণে তারা পরিবারসহ হুমকির মুখে রয়েছেন।
মাওলানা হালিম বলেন, "যে উন্নয়ন সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে, সেই উন্নয়ন আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না।"
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রুহুল আমীন, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম, মাওলানা মকসুদার রহমান, আবুল বাশার লাভলু, আতা ই রাব্বী, মাওলানা সুরুজ্জামান আহমেদ, মাওলানা মতিউল ইসলাম খানসহ বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।
ইএইচ