বন্ধ থাকা রপ্তানিমুখী কন্টেইনার স্ক্যানার চালু করলেন চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান

মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
বন্ধ থাকা রপ্তানিমুখী কন্টেইনার স্ক্যানার চালু করলেন চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান তার দায়িত্ব পালনে এনেছেন নতুন মাত্রা। তার উদ্যোগে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা রপ্তানিমুখী কন্টেইনার স্ক্যানার পুনরায় চালু করা হয়েছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মাধ্যমে পরিচালিত এই স্ক্যানারের সঙ্গে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদি চুক্তি ছিল। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও চুক্তি নবায়ন না হওয়ায় স্ক্যানারটি বন্ধ ছিল, ফলে রপ্তানি কার্যক্রমে ধীরগতি দেখা দেয়।

এ অবস্থায় বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে স্ক্যানারটির অপারেশনাল কার্যক্রম পুনরায় চালু করেন চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান।

বন্দর পরিচালক (নিরাপত্তা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জহিরুল ইসলাম, পিএসসি আমার সংবাদকে জানান, “স্ক্যানার চালুর ফলে চট্টগ্রাম বন্দর আর্থিকভাবে সরাসরি লাভবান না হলেও চট্টগ্রাম কাস্টমস লাভবান হবে। তবে আইএসপিএস কোড বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে ফাইভ আর অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড কর্তৃক সরবরাহকৃত উন্নতমানের ফিক্সড স্ক্যানার স্থাপন করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় অপারেশনাল কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।

বন্দরের কর্মকর্তাদের মতে, রপ্তানিমুখী কন্টেইনার স্ক্যানিং চালু রাখার জন্য একটি কার্যকর সমাধান প্রয়োজন ছিল। সেই লক্ষ্যেই পূর্বের ঠিকাদারকে সাময়িকভাবে পুনর্নিয়োজিত করে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম সচল করা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে রোববার চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান স্ক্যানারটির অপারেশনাল কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার, বন্দর সদস্য (হারবার ও মেরিন), পরিচালক (নিরাপত্তা), বন্দর সচিবসহ কাস্টমস ও বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম বন্দরের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বন্দরের সুনাম রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইএইচ