নাটোরে বিচার বিভাগীয় সহায়ক কর্মচারীদের কর্মবিরতি

নাটোর প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম
নাটোরে বিচার বিভাগীয় সহায়ক কর্মচারীদের কর্মবিরতি

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের স্কেলের আলোকে বেতন-ভাতা ও স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দাবিতে সারা দেশের মতো নাটোরেও অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীরা ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের নাটোর জেলা শাখার আয়োজনে জেলা জজ আদালতের সামনের চত্বরে এই কর্মবিরতি পালন করা হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মচারীরা আদালত ভবনের বিভিন্ন কক্ষ তালা দিয়ে আদালতের সামনে অবস্থান নেন এবং দুই ঘণ্টা আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

এই সময় বক্তব্য রাখেন জেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীদের বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আওতায় এনে সপ্তম থেকে ১২তম গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি ব্লক পদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃজন ও জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ দিতে হবে। ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথক হলেও সহায়ক কর্মচারীদের জন্য পৃথক পে-স্কেল প্রণয়ন করা হয়নি, ফলে দীর্ঘদিনেও অনেকে পদোন্নতি পাননি। বিচারকদের মতো সহায়ক কর্মচারীদেরও জুডিশিয়াল ভাতা, অবকাশকালীন ভাতা সহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিতের দাবি জানান তাঁরা।

নাটোরে কর্মসূচির সময় বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা নিজ নিজ কক্ষে তালা দিয়ে জেলা জজ আদালতের সামনের চত্বরে অবস্থান নেন।

উল্লেখ্য, ১৯ এপ্রিল দুই দফা দাবি জানায় বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সভাপতি সংবাদ সম্মেলনে জানান, ৫ মের মধ্যে দাবি মানা না হলে ওই দিন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবে কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।

তবে নাটোর বার সমিতির সভাপতি এ্যাড. রুহুল আমিন তালুকদার টগর অ্যাসোসিয়েশনের কর্মচারীদের দাবির সাথে একমত পোষণ করে তাদের কর্মে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানালে আদালত চত্বরে আবার কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসে।

ইএইচ