কোরবানির ঈদে সন্দ্বীপে প্রস্তুত ৮৫ হাজার পশু

ইলিয়াছ সুমন, সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
কোরবানির ঈদে সন্দ্বীপে প্রস্তুত ৮৫ হাজার পশু

আর মাত্র পঁচিশ / ছাব্বিশ দিন পর কুরবানির ঈদ, আসন্ন এই ঈদ কে ঘিরে চলছে পশু কেনা বেচার প্রস্ততি, প্রাণী সম্পদ দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী এবার কুরবানির জন্য প্রস্তুত ৮৫ হাজার এর ও বেশি পশু যা গত বছরের তুলনায় ৫ হাজার বেশি। 

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে  সন্দ্বীপে  পশু পালন ও পরিচর্যায়  ব্যস্ত রয়েছেন কৃষক ও খামারিরা। ছোট বড় খামারি ও কৃষকরা গরু, ছাগল, মহিষ, পালন করছেন তারা। তবে এবছর চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি  পশু পালন হচ্ছে। গো-খাদ্যসহ অন্যান্য খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্য ভালো পেলে কোরবানির পশু বিক্রি করে লাভবান হবার আশা করছেন খামারিরা।উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা সহ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ৮৫  হাজার ২৫০ টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

এরমধ্যে গরু ষাঁড় ২৩ হাজার ৭৭৭,  গরু বলদ ১০ হাজার ৯৪৬, গাভী ৪ হাজার ৯১৩ টি,  মহিষ ১২ হাজার ৫০৮ টি , ছাগল ১৪ হাজার ৪০৬ টি,  ভেড়া ১৮ হাজার ৭০০টি।উপজেলায় নিয়মিত খামারি আছে ডেইরি খামারি  -১৪৫  হ্রষ্টপুষ্ট -১০৯, মহিষ খামার  -১১৭, ছাগল খামার -১০৪, ভেড়া খামার-১১০ টি। এছাড়াও প্রান্তিক ভাবে ১-২টা করে পালনকারী যথেষ্ট সংখ্যক খামার  রয়েছে, অনিয়মিত খামারি স্বল্প সময়ে বিক্রির জন্য পশু প্রস্তুত করছে বলে জানা যায়। 

চট্টগ্রাম জেলায় এবারের ঈদে সব চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে সন্দ্বীপ উপজেলায়। 
এবছর সন্দ্বীপ  উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৩২ হাজারের বেশি। 
সরেজমিনে কয়েকটি খামার ঘুরে খামারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদকে উপলক্ষ্যে গরু লালন পালন করছেন। ঘাস, খড়, খৈল ভুষিসহ পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে দেশীয় জাতের গরুই বেশী লালন পালন করছেন বেশি। আশা করছেন লাভবান হবেন।

সন্দ্বীপ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আলী আজম বলেন, সন্দ্বীপ এ পর্যাপ্ত গবাদিপশুর যোগান রুয়েছে, কোন সংকট থাকবেনা, ইনশাআল্লাহ। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে গবাদিপশু লালন পালন করে হচ্ছে। কোন প্রকার রাসায়নিক বা স্টেরয়েড জাতীয় ট্যাবলেট খাওয়ানো থেকে খামারিদের সচেতন করা হয়েছে এবং মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মীরা এই ব্যাপারে খামারিদের খোঁজ খবর রাখছেন। সন্দ্বীপ এ প্রায় ৩৩০০০এর মত চাহিদা রয়েছে। মূল বাজারগুলোতে প্রতিবারের মত ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে।

আরএস