পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের চর সেনগ্রাম ও বওশা এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে প্রায় ২৫০ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে। একই সঙ্গে ফলজ ও বনজ গাছপালাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এলাকার ফল খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় রোববার সকালে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেন। পরে চাটমোহর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত তিন বছর ধরে প্রতি মৌসুমেই ইটভাটা বন্ধের সময় বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে কৃষি ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় আম, লিচু, ডাবসহ নানা ফলগাছে ফলন কমে গেছে। যেটুকু ফল হয়েছে, তা খাওয়ার উপযোগী নয়। পাশাপাশি শিশু, কিশোরসহ সকল বয়সের মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইটভাটা মালিক দায় স্বীকার করে জানান, ইটভাটা বন্ধের সময় ছাই ও ধোঁয়া বাতাসে ভেসে গিয়ে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ফসল ও গাছপালার ক্ষতি করতে পারে। যদিও কয়েকটি ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে, তবে অধিকাংশ ইটভাটার তা নেই। মালিকরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। ফসল নষ্ট হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, অতিরিক্ত তাপমাত্রা একটি বড় কারণ হতে পারে। প্রয়োজনে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের নিয়ে তদন্ত করা হবে।”
এদিকে ইটভাটা বন্ধ ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবিতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ক্ষতিপূরণ না পেলে এবং ভাটাগুলো বন্ধ না করা হলে জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
ইএইচ