বরগুনার তালতলী উপজেলার বড় আমখোলা গ্রামে মো. আব্দুল কাদের মুন্সী (৬০) নামে এক কৃষককে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহতের পরিবারের দাবি, হত্যার মূল আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে এখন উল্টো মামলা তুলে নিতে পরিবারকে নানা ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
রোববার সকাল ১১টায় বড় আমখোলা গ্রামে স্থানীয়দের উদ্যোগে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে নিহত কাদের মুন্সীর সন্তান তরিকুল ইসলাম ও মোসা. পলি আক্তারসহ প্রায় তিন শতাধিক এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী নাসির ও সিদ্দিক গংদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে কাদের মুন্সীকে হত্যা করা হয়। পরে ঘাতকরা ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, জামিনে মুক্ত থাকা আসামিরা এখন হত্যার শিকার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে বলছে—“ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করবো, তাও দুর্ঘটনা বলে চালাবো।”
এছাড়াও, হত্যাকাণ্ডের পরপরই সাজানো একটি “তরমুজ নষ্টের” মামলা দিয়ে নিহতের পরিবারকে হয়রানি শুরু করে তারা। একের পর এক মিথ্যা মামলা এবং স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে তারা ন্যায়বিচারের পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
বক্তারা প্রশ্ন তোলেন—“একজন নিরীহ কৃষককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার পরও কীভাবে ঘাতকরা জামিনে মুক্ত থাকতে পারে? তারা কীভাবে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় ও হুমকি দিতে পারে?”
এ সময় এলাকাবাসী “পরিকল্পিত হত্যার বিচার চাই”, “ঘাতকদের ফাঁসি চাই”—এমন স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়—আসামিদের জামিন দ্রুত বাতিল করে গ্রেপ্তার করতে হবে, ঘর পোড়ানোর হুমকির বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করতে হবে এবং মিথ্যা মামলাগুলোর প্রকৃত উদ্দেশ্য উদঘাটন করতে হবে। একই সঙ্গে ভিকটিম পরিবারকে অবিলম্বে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিবাদকারীরা হুঁশিয়ারি দেন, যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া হলে তালতলীর এই নির্মম হত্যাকাণ্ড আরেকটি ‘অবিচার’-এর দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ইএইচ