কুষ্টিয়ায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বাস, মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টরের ত্রিমুখী সংঘর্ষে সুরুজ আলী (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। 

সোমবার দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত সুরুজ আলী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউরিয়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া শহরের একটি ফার্মেসিতে কর্মরত ছিলেন।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেলযোগে কুমারখালী থেকে কুষ্টিয়ামুখে যাওয়ার পথে সুরুজ একটি ইটবোঝাই ট্রাক্টরকে ওভারটেক করার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় কুষ্টিয়া থেকে আসা একটি অজ্ঞাতনামা বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে সুরুজ ছিটকে পড়ে যান এবং ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়েন। ট্রাক্টরের চাকা তার বুকের ওপর উঠে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার পর সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের ওপর দাঁড়ানো ট্রাক্টরের নিচে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি আটকে আছে। উৎসুক জনতা ভিড় করে এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে।

স্থানীয় বাসিন্দা টিপু সুলতান জানান, সুরুজ ট্রাক্টরটিকে ওভারটেক করার সময় বাস ধাক্কা দিলে সে ট্রাক্টরের নিচে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছোট ভাই সবিজ হোসেন বলেন, “ভাই কুষ্টিয়া শহরের একটি ফার্মেসিতে কাজ করতেন। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে কুমারখালী এসেছিলেন। ফেরার পথে এই দুর্ঘটনায় মারা যান। মহাসড়কে অবৈধ ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ থাকলে এ দুর্ঘটনা ঘটত না। আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে মামলা করব।”

চৌড়হাঁস হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জয়দেব কুমার সরকার বলেন, “মোটরসাইকেল আরোহী সুরুজ ট্রাক্টরকে ওভারটেক করার সময় বাসের ধাক্কায় পড়ে যান এবং ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুর্ঘটনায় জড়িত ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইএইচ