দীর্ঘ পাঁচ মাসের অপেক্ষার পর আবারও চালু হলো কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী ফেরি চলাচল। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ায় দূর হয়েছে নাব্যতা সংকট। বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঠিক দুপুর ১২টায় দুটি পণ্যবাহী পরিবহন নিয়ে ‘কুঞ্জলতা’ নামের ফেরিটি রৌমারীর উদ্দেশে ছেড়ে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচলের সূচনা হয়।
এর আগে ২০২৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে ‘কুঞ্জলতা’ ও ‘কদম’ নামের ফেরি দুটি দীর্ঘদিন রৌমারী ঘাটে পড়ে ছিল অচল অবস্থায়।
উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সম্প্রতি ব্রহ্মপুত্রে পানি বৃদ্ধি পায়। এতে ফিরতে থাকে নদীর নাব্যতা। বুধবার ফেরি চলাচলের চ্যানেলটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। একই দিন ‘কুঞ্জলতা’কে রৌমারী থেকে চিলমারী ঘাটে আনা হয়।
আজ দুপুরে নিয়মিত যাত্রা শুরু করে ‘কুঞ্জলতা’। তবে ‘কদম’ ফেরিটি মেরামতের অপেক্ষায় রয়েছে। আপাতত এককভাবে ‘কুঞ্জলতা’ই চিলমারী-রৌমারী রুটে চলাচল করবে।
বিআইডব্লিউটিসির চিলমারী শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ‘নাব্যতা সংকটে ফেরি বন্ধ ছিল প্রায় পাঁচ মাস। এখন চ্যানেল প্রস্তুত, পানি পর্যাপ্ত—আজ দুপুরে ‘কুঞ্জলতা’ দুটি পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে রওনা দিয়েছে। এখন থেকে এটি নিয়মিত চলবে।’
নৌরুটটি চালু হওয়ায় দুই পারের ব্যবসায়ী ও যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সময় ও খরচ বাঁচার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলের পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতে আবারও গতি ফিরবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।
বিআরইউ