বরগুনার তালতলী উপজেলার করমজাপাড়া গ্রামে ১১ বছরের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সিদ্দিকুর রহমান (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
তবে অভিযুক্ত এ অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, জমিজমা নিয়ে পুরোনো বিরোধের জেরে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
অভিযোগের বিবরণ ও স্থানীয় ও সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটি গ্রামের কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে জাম পারতে বের হয়। এ সময় অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান জাম দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান। পরবর্তীতে ওই ঘরেই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
রাতে শিশুটি কান্নাকাটি করলে তার মা বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন। পরদিন সকালে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে বিস্তারিত জানা গেলে শিশুটির পরিবার থানায় মামলা করেন।
অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। অভিযোগকারী পরিবারের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জের ধরেই আমাকে সমাজের চোখে হেয় করার জন্য এই ভিত্তিহীন মামলা করা হয়েছে। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। সঠিক তদন্ত হলে সব প্রমাণ হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি এই বয়সে এমন ঘৃণ্য কাজের কথা চিন্তাও করতে পারি না। আমি চাই, সত্য দ্রুত উদঘাটিত হোক। যে কোন জায়গা থেকে মেডিকেল করা হলে আশা করি রিপোর্টে মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হবে। আর মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য আমি ও আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার খান বলেন, দুই পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে পুরোনো বিরোধ রয়েছে, যা এলাকার সবাই জানে। তবে ঘটনাটি যেহেতু সংবেদনশীল, তাই তদন্ত ছাড়া কিছু বলা ঠিক হবে না। প্রশাসনের নিরপেক্ষ তদন্তই পারে সত্য উন্মোচন করতে।
ঘটনাটি তালতলী উপজেলার করমজাপাড়া গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়দের একাংশ প্রকৃত দোষীর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন, অন্যদিকে কেউ কেউ ঘটনাটিকে পারিবারিক বিরোধ থেকে উদ্ভূত ষড়যন্ত্র বলেও সন্দেহ করছেন। তদন্ত শেষে সত্য উদঘাটন হবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জালাল বলেন, ভিকটিমের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
ইএইচ