এ মাসের শেষের দিকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ভোলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় দুর্যোগ প্রস্তুতি ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান জানান, ‘ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় জেলার ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১৪টি মাটির কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’ ঘূর্ণিঝড়পূর্ব সতর্কতা ও সাড়া দেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে ১৩ হাজার ৮৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, যারা সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টের সঙ্গে যুক্ত।
উপজেলা পর্যায়ে গঠন করা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম, রয়েছে ৯৮টি মেডিকেল টিম ও ২১টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম। চরাঞ্চলসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনাও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা ত্রাণ তহবিলে রয়েছে ২৯১ মেট্রিক টন চাল, ১ হাজার ১৫ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৬ লক্ষাধিক টাকা নগদ অর্থ এবং শিশু ও গো-খাদ্য কেনার জন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ। সরকারি কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সমুদ্রের উপর সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ভোলায় সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং বেলা ১১টার পর থেকে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু হয়। নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোর বাসিন্দারা জানান, মেঘনা নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মনিরুজ্জামান জানান, লঘুচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়া আরও পাঁচ দিন থাকতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়নি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলায় সমুদ্রে কোনো মাছ ধরার ট্রলার নেই। তবে নদীতে থাকা নৌযানগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিআরইউ