সিলেট ও মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে এক রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ১৫৩ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে। শনিবার (২৪ মে) গভীর রাত থেকে রোববার (২৫ মে) সকাল পর্যন্ত চলে এই পুশইনের ঘটনা। সীমান্ত অতিক্রমের সঙ্গে সঙ্গেই সবাইকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর সীমান্ত দিয়ে ৭৯ জন, পাল্লাথল দিয়ে ৪২ জন এবং সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার নয়গ্রাম সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
বিজিবির ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান জানান, রাত আনুমানিক আড়াইটা থেকে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়। তখনই দেখতে পাই ঘন জঙ্গল ও বিলপথ ব্যবহার করে বিএসএফ পুশইন করছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে আটক করি। তাদের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে।
এ নিয়ে গত এক মাসে সিলেট সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ-এর মাধ্যমে পুশইনের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯০ জনে। এর আগে ১৪ মে কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ১৬ জন, ২৪ মে আরও ২১ জনকে পুশইন করা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের পুশইন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরিপন্থী। কোনো দেশ তার নাগরিক বা বিদেশি নাগরিকদের বলপূর্বক অন্য দেশে পাঠাতে পারে না। ধারাবাহিকভাবে সিলেট সীমান্ত দিয়ে পুশইনের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।
বিআরইউ
আমার সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
