মহাসড়কে চাঁদার ‘দাপট’, দুশ্চিন্তায় গরু ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৫, ১১:০২ এএম
মহাসড়কে চাঁদার ‘দাপট’, দুশ্চিন্তায় গরু ব্যবসায়ীরা

পবিত্র ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসছে। দেশের উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীসহ বড় শহরের কোরবানির হাটগুলোতে গরু পৌঁছানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে পশুবাহী যানবাহনের চালক ও গরু ব্যবসায়ীরা এখনই পড়েছেন ভিন্ন এক দুশ্চিন্তায়—‘মহাসড়কে চাঁদাবাজির দাপট’।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পশুবাহী ট্রাক চলাচলের পথে একাধিক স্থানে থামিয়ে ‘চাঁদা’ আদায় করা হয়। কখনও শ্রমিক সংগঠনের নাম ব্যবহার করে, কখনও আবার রাজনৈতিক পরিচয় বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রছায়ায় এসব অর্থ নেওয়া হয়। চাঁদা না দিলে হয়রানি, এমনকি গাড়ি আটকে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।

চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকামুখী গরু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম আমার সংবাদকে বলেন, ‘প্রতি বছর অন্তত পাঁচ-ছয়টি জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। কেউ বলে সংগঠনের নামে নিচ্ছে, কেউ রাজনৈতিক দলের নাম করে। পথ পেরোনোই যেন বড় যুদ্ধ।’

পশু ব্যবসায়ীরা জানান, একেকটি গরুবাহী ট্রাকে পথে পথে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। এতে পরিবহন খরচ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, যা শেষ পর্যন্ত গরুর দাম বাড়িয়ে দেয়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ ক্রেতারাও।

বাংলাদেশে ঈদুল আজহার সময় পশুর হাটগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে হাজার কোটি টাকার অর্থনীতি। এই বাজারে চাঁদাবাজির প্রভাব পড়ে সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনায়।

এ প্রসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, চাঁদাবাজি ঠেকাতে নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে। মহাসড়কে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে গরু ব্যবসায়ীদের দাবি, শুধু আশ্বাস নয়—চাঁদাবাজি বন্ধে মাঠপর্যায়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে এখনই। তা না হলে প্রতি বছর ঈদের আগে এই চক্রের দাপটে পশুবাজারে অস্থিরতা বাড়তেই থাকবে।

বিআরইউ