এ কে এম ফজলুল হক মিলন

জনগণের কল্যাণের জন্য বিএনপির ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন

পূবাইল (গাজীপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম
জনগণের কল্যাণের জন্য বিএনপির ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন

জনগণের কল্যাণের জন্য বিএনপির ক্ষমতায় আসা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হক মিলন।

তিনি বলেন, আমরা ধৈর্য হারাইনি এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উন্মত্ত হয়ে উঠিনি; বরং মানুষের কল্যাণের জন্য বিএনপির ক্ষমতায় আসা গুরুত্বপূর্ণ এবং সবাইকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

শনিবার সন্ধ্যায় শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে পূবাইল থানা বিএনপির আয়োজিত খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ভালো ছাত্ররা পরীক্ষার সময় পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করে না এবং শিক্ষকদের ঘেরাও করে না; বরং যারা পড়াশোনা করেনি এবং প্রস্তুতি নেনি, তাদের মাথা গরম হয়ে ভাঙচুর করে পরীক্ষার সময় পরিবর্তনের দাবি করে। ভালো ছাত্র যথাসময়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কারণ তাদের জনগণের প্রতি আস্থা রয়েছে। যারা নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চায়, তাদের প্রস্তুতি নেই, দল নেই, কিছুই নেই, তাই তারা টালবাহানা করছে। কোনো টালবাহানায় কাজ হবে না; এই ধরনের অশান্তি দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হয় না। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য বিএনপির মতো অভিজ্ঞ দলের প্রয়োজন।

কাজেই টালবাহানা বন্ধ করে যথাযথ সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করুন। প্রয়োজনীয় সংস্কার করুন; আমরা বাধা দেবো না। কিন্তু সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়।

পূবাইল থানা বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন বকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি।

বিশেষ অতিথি এম মঞ্জুরুল করিম রনি বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, স্বাধীনতার ঘোষক এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কারণে জামাত ও আ'লীগ এদেশে রাজনীতি করার অধিকার ফিরে পেয়েছিল। ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টাকারী প্রথম স্বৈরশাসক শেখ মুজিব ও শেষ ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দলটিকে গুম, খুন ও গণহত্যা চালিয়ে ভারতে পলাতক হয়েছেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের নির্বাচন বানচাল করতে তারা টালবাহানা করছে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আরেকটি সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পূবাইল থানা বিএনপির সিনিয়র সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সহ সভাপতি শেখ তানভীর আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির সরকার, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মনসুর আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন ভূঁইয়া, যুবদলের আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান, পূবাইল থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান কাজল, সদস্য সচিব হারুন উর রশিদ, পূবাইল থানা শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রোহানুজ্জামান শুক্কুর, পূবাইল থানা ছাত্র দলের সাবেক আহ্বায়ক রাজিব মিয়া, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহেল খান, ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রিয়াজ প্রমুখ।

ইএইচ