দিনাজপুরে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাটগুলো। শেষ মুহূর্তের কেনাবেচায় হাটগুলোতে উপচে পড়া ভিড়, যেন মানুষের ঢল নেমেছে। গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়াসহ সব ধরনের কোরবানির পশুই পাওয়া যাচ্ছে হাটে হাটে। গরুর হাটে হাঁটতে গেলে পা ফেলার জায়গা নেই।
সামর্থ্য অনুযায়ী যে যেভাবে পারছেন, কিনে নিচ্ছেন কোরবানির পশু। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে মাঝারি আকৃতির গরু। এসব গরুর দাম ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে। ছোট গরুর দাম ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তবে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা দামের বড় গরুর বিক্রি তুলনামূলক কম।
চাহিদা পূরণ করেই থেমে নেই দিনাজপুর। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য বলছে, স্থানীয় চাহিদা রয়েছে ৬৯ হাজার ৮৬৫টি পশুর, অথচ উৎপাদন হয়েছে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৯১টি গরু-মহিষ-ভেড়া। ফলে অতিরিক্ত ১ লাখ ৩৬ হাজার পশু দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
জেলায় নিবন্ধিত খামারির সংখ্যা ৬২ হাজার ১০৮ জন। ঈদ উপলক্ষে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ৬৮টি হাট বসেছে জেলার ১৩ উপজেলায়।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মীরা হাটে হাটে নজরদারি করছেন, যেন কেউ রোগাক্রান্ত পশু বিক্রি করতে না পারে। নকল টাকা শনাক্তের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। আর সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করতে সেনা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
দিনাজপুর সদরের হাটে গরু কিনতে আসা কোরবান আলী বলেন, মাঝারি সাইজের স্বাস্থ্যবান গরু পাওয়া যাচ্ছে। দামও তুলনামূলকভাবে সহনীয়।
অন্যদিকে, বিক্রেতা মজিবর রহমান জানান, এবার বিক্রি ভালো। গরু যেমন বড় হয়েছে, দামও তুলনামূলক ভালো পাচ্ছি।
এদিকে বড় হাটগুলো থেকে গরু কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছেন পাইকাররা। তাঁদের মতে, দিনাজপুরের গরু এখন ব্র্যান্ড।
বিআরইউ