জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে “জিয়াউর রহমানের জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোজাক্কির রহমান রাব্বি'র সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব খন্দকার তসলিম উদ্দিন নিশাত'র সঞ্চালনায় কর্মশালার উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল মুইদ বাবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হাকিম মাসুদ, সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান মিথুন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস. আর. শিপন বিশ্বাস এবং জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে কুতুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমান সারাজীবন দেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্স গঠন করে তিনি পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে মরণপণ লড়াই করেছেন। এ কারণেই তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। তাঁর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান জানার জন্য পড়াশোনা জরুরি।”
প্রধান অতিথি প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, “শহীদ জিয়া ছোটবেলা থেকেই দেশপ্রেমিক ছিলেন। তিনি সেনা কর্মকর্তা থেকে রাষ্ট্রপতি হয়ে বুঝেছিলেন—দেশকে খাদ্যে স্বনির্ভর করতেই হবে। এজন্য তিনি পায়ে হেঁটে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া গিয়েছেন, সাধারণ মানুষের কথা শুনেছেন, নিজ হাতে কোদাল ধরে খাল খনন করেছেন। তাঁরই ঘোষণা ছিল কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা—যা না হলে এই দেশ স্বাধীন হতো কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন থেকে যেত। আওয়ামী লীগ যখন বাকশাল কায়েম করেছিল, তখন শহীদ জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন।”
অনুষ্ঠানে জেলার ৫০টি স্কুল থেকে দুজন করে শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তারা শহীদ জিয়াউর রহমানের জীবনী নিয়ে বক্তব্য রাখে এবং তাঁর জীবনের উপর রচিত বইপুস্তক পাঠ করে কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় শতাধিক শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল উৎসাহ ও প্রাণবন্ত পরিবেশ।
ইএইচ