দেশে আবারও করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে করোনা শনাক্তের কিট সংগ্রহে স্বাস্থ্য বিভাগ জোর দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিট সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। কিছু কিট স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে আসলেও বরিশাল বিভাগে করোনা পরীক্ষার কিট ও অন্যান্য উপকরণ না থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
শনিবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের দুটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ছয়টি সদর হাসপাতাল ও উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে করোনা পরীক্ষার কিটসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই। ফলে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীরা পরীক্ষা না করতে পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, করোনার লক্ষণ দেখা দিলেও পরীক্ষা না করায় তারা নিশ্চিত হতে পারছেন না করোনা আক্রান্ত কিনা। এতে ব্যক্তিগত জীবন ও আশেপাশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল জানান, নানা কারণে করোনা পরীক্ষা একটু বিলম্বিত হয়েছে, তবে কয়েক দিনের মধ্যে করোনা পরীক্ষার কিট ও অন্যান্য সরঞ্জাম এসে পৌঁছাবে এবং পরীক্ষা শুরু করা হবে।
বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মলয় কৃষ্ণ বড়াল জানান, বর্তমানে হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার সুবিধা নেই। দুই বছর আগের পুরনো কিট দিয়ে পরীক্ষা সম্ভব নয়। নতুন কিট ও সরঞ্জাম পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। বর্তমানে রোগীর উপসর্গ (ঠান্ডা, সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট) অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা আইসোলেশনের জন্য একটি কক্ষ প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা আগামী সপ্তাহে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া বিভাগের সকল জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল ও ৪০টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন ব্যবস্থা চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। ২০২১ সালে সর্বোচ্চ দুই দিনে ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়। ২০২২ সাল থেকে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার নিম্নমুখী হয়। সর্বশেষ ২০২৫ সালের ৩ জুন পর্যন্ত করোনায় কোনো মৃত্যু ঘটেনি।
ইএইচ