ঝিনাইদহ সদর উপজেলার “ঝিনাইদহ নার্সারি এন্ড বীজ ভান্ডার” নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এক কৃষকের অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার দুপুর ১২টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে নিম্নমানের ও ভুলভাবে লেবেলযুক্ত বীজ বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহরান।
অভিযোগকারী কৃষক কাশিপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, তিনি শহরের ২ নম্বর পানির ট্যাঙ্কির সামনে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটি থেকে ব্রি-ধান ১০৩ জাতের বীজ কিনেছিলেন। তবে সরবরাহ করা হয় আপন সীড স্টোরের ব্রি-ধান ৫১ জাতের বীজ। ফলে ফলন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসে মৌখিক অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেন পলাশ এবং সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুন নবীকে সঙ্গে নিয়ে একটি যৌথ টিম অভিযানে অংশ নেয়।
অভিযানে দেখা যায়, আপন সীডের প্যাকেটে ভিন্ন নাম্বার সম্বলিত স্টিকার লাগিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বীজ বাজারজাত করা হচ্ছিল। একইসাথে কিছু অনুমোদনহীন বীজও বিক্রি করা হচ্ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং কৃষক রবিউল ইসলামকে তার ক্রয়ের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহরান বলেন, “কৃষকদের সঙ্গে এমন প্রতারণা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। অনিয়ম রোধে নিয়মিত অভিযান চলবে।”
ইএইচ