কচুয়ায় এনসিপির পদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, তদন্তে জেলা শিক্ষা অফিস

চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
কচুয়ায় এনসিপির পদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, তদন্তে জেলা শিক্ষা অফিস

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ১৩ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে কচুয়ার রাগদৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আহসান হাবিবকে যুগ্ম-সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে, কারণ সরকারি চাকরির বিধিমালায় সরাসরি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ।

গত ৪ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর স্বাক্ষরে কচুয়া উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে শিক্ষক আহসান হাবিবের নাম থাকায় সরকারি বিধি লঙ্ঘনের প্রশ্ন উঠেছে।

সম্প্রতি ঈদুল আজহার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও তাঁকে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে দেখা গেছে। এর আগে তিনি বিলুপ্ত জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য হিসেবেও যুক্ত ছিলেন। এনসিপির কচুয়া উপজেলা কমিটি গঠন ও বিভিন্ন কার্যক্রমেও তাঁকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।

তবে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর ২৫(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারেন না। বিধিমালার ২৫(৩) ধারা অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারী নির্বাচনী প্রচারণাতেও অংশ নিতে পারেন না।

এ বিষয়ে মো. আহসান হাবিব বলেন, “আমি জুলাই আন্দোলন থেকে রাজনীতির সাথে যুক্ত। এনসিপির ছাত্রদের নতুন উদ্যোগে কাজ করছি বলেই আমাকে এ পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি চাকরির বিধির কারণে শিগগিরই পদত্যাগ করব।”

জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া বলেন, “কমিটিতে কোনো সরকারি চাকরিজীবী রয়েছেন, তা জানা ছিল না।”

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, “সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ যদি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যেতে চান, সেটা তার সিদ্ধান্ত। তবে চাকরিতে থেকে কেউ জড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, “এনসিপির কমিটিতে সরকারি শিক্ষক অন্তর্ভুক্ত থাকার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইএইচ