পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আনবেন না: শিক্ষা উপদেষ্টা

নোয়াখালী প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম
পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আনবেন না: শিক্ষা উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, "পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আনবেন না।" 

তিনি বলেন, “আমার রাজনৈতিক বিশ্বাস থাকতে পারে, কিন্তু সেই বিশ্বাস আমার ব্যক্তিগত পর্যায়ে থাকবে। আমি সেটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার দেয়ালের মধ্যে আনবো না। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার দায়িত্ব সকল ছাত্রের প্রতি সমানভাবে পালন করা।”

সোমবার দুপুরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ১৯তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, রিসার্চ ফেয়ার ও একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

রাজনীতির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “যদি কেউ মনে করেন তিনি রাজনীতি করবেন, তবে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতির অঙ্গনে চলে যেতে হবে। কারণ রাজনীতিতেও ভালো ও যোগ্য লোকের প্রয়োজন আছে। কিন্তু পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেনে আনবেন না। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সরকার এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।”

নিজের শিক্ষকতা জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “৪০ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে শিক্ষকতা করেছি। চেষ্টা করেছি নীতিবান শিক্ষক হতে। দেখেছি, অনেক শিক্ষক ক্লাস ফাঁকি দেন। তাদের দায়িত্বশীলতা ও নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা যদি চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ও মনোযোগী হোক, তাহলে আমাদেরও শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বশীল হতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক সময় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতার চেয়ে ভোট বেশি গুরুত্ব পায়। এটা আমরা পরিবর্তন করতে চাই। আমাদের নতুনভাবে সবকিছু ঢেলে সাজাতে হবে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ফারুকসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ও প্রতিষ্ঠায় যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁদের কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রথমবারের মতো রিসার্চ ফেয়ার, রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড, ডিনস অ্যাওয়ার্ড ও ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির রিসার্চ প্রেজেন্টেশন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ইএইচ