সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক ভোট ব্যবস্থার দাবি হিন্দু মহাজোটের

কাজী আনোয়ারুল ইসলাম টুটুল, রাজবাড়ী প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক ভোট ব্যবস্থার দাবি হিন্দু মহাজোটের

হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন বন্ধ এবং জাতীয় সংসদসহ সকল পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

এ দাবির পাশাপাশি কুমিল্লার মুরাদনগরে গণধর্ষণ, খিলক্ষেতে মন্দির ভাঙচুর, ভূমি দখল, হত্যা, চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি।

বুধবার রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে রাজবাড়ী জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

এতে বক্তব্য দেন হিন্দু মহাজোট রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি অশোক শিকদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাসুদেব প্রামানিক, আইন বিষয়ক সম্পাদক হেমন্ত কুমার পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইন্দ্রজিত কুমার দাস প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, “সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনও সরাসরি প্রতিনিধি না থাকায় এ সম্প্রদায়ের মানুষ বারবার নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক ভোট ও সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা না করলে হিন্দু সম্প্রদায় আগামীতে কোনও নির্বাচনেই অংশ নেবে না এবং ভোট বর্জন করবে।”

তারা বলেন, “স্বৈরাচার পতনের পর আমরা আশা করেছিলাম দেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, উপদেষ্টা পরিষদ, সংস্কার কমিটি কিংবা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হিন্দুদের অংশগ্রহণ নেই। বরং প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির, প্রতিমা ধ্বংস, জমি দখল, হত্যা, অপহরণ, নারী নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও দেশত্যাগে বাধ্য করার ঘটনা ঘটছে।”

বক্তারা উদাহরণ দিয়ে বলেন, “সম্প্রতি যশোরে ১৮টি হিন্দু পরিবার ঘরবাড়ি, দোকান ও আসবাবপত্রসহ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পরেশ চন্দ্র শীল ও বিষ্ণুপদ শীলের ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু এসব ঘটনায় এখনো পর্যন্ত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি।”

তারা বলেন, “শুধু কথার মাধ্যমে নয়—সংবিধান অনুযায়ী সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে সংসদে সরাসরি প্রতিনিধিত্ব এবং পৃথক ভোটব্যবস্থার পুনর্বহাল জরুরি।”

ইএইচ