টাঙ্গাইলে এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছে ‘কিলার গ্যাং’ নামের একটি গ্রুপের পক্ষ থেকে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে বিএনপির তিন নেতাসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত টাঙ্গাইল পৌর এলাকার সন্তোষ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—টাঙ্গাইল শহর বিএনপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি গোলাম রাব্বানী, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মিয়া, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেন, এছাড়া আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাব্বির মিয়া।
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহযোগিতায় এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইজাজুল হক সবুজ অভিযোগ করেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাদের ফাঁসানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ জুলাই রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সন্তোষ এলাকায় মাছ ব্যবসায়ী মো. আজাহারুল ইসলামের কর্মচারীর হাতে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি একটি চিঠি দেয়। পরবর্তীতে শুক্রবার সকালে ওই চিঠিটি ব্যবসায়ী আজাহারুল ইসলামের কাছে পৌঁছে। চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
চিঠিতে উল্লেখ ছিল, “চিঠি পাওয়ার পর যদি বিষয়টি কারো সঙ্গে শেয়ার করিস বা আইনি প্রক্রিয়া শুরু করিস, তাহলে তোকে এমনভাবে হত্যা করা হবে যে তোর লাশ পরিবার খুঁজে পাবে না। প্রশাসন সবসময় তোদের পাশে থাকবে না। বাঁচতে পারবি না। তোর বুদ্ধিমত্তার সিদ্ধান্তেই তুই ও তোর পরিবার সুরক্ষিত থাকবে।”
চিঠিতে আরও বলা হয়, “তুই দীর্ঘদিন ধরে মাছ ব্যবসা করছিস, যার তোর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। পাঁচ লাখ টাকা তোর কাছে কোনো ব্যাপার নয়। তাই আগামী ৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় কাগমারী মাহমুদুল হাসানের বাসার সামনে একটি গাছে ফরহাদের ছবি লাগানো আছে, সেই গাছের নিচে একটি শপিং ব্যাগ রেখে দিতে হবে।”
ইএইচ
আমার সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
