ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মধুপুর আব্বাছিয়া ডি.এস. দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ভারপ্রাপ্ত সুপারের ওপর হামলার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ওইদিন ক্লাস চলাকালীন সময়ে উপজেলার নাউরি গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিন ফকিরের ছেলে কামরুল হাসান ফকিরের নেতৃত্বে ২০-২২ জনের একটি দল মাদ্রাসায় প্রবেশ করে। নিয়মিত কমিটি তাদের ইচ্ছামতো না হওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে সুপার এয়াকুব আলীকে অফিস কক্ষে ঢুকে হুমকি-ধমকি দিয়ে মারধর ও অপদস্ত করে।
এ সময় উপস্থিত অভিভাবক সদস্যসহ কয়েকজন ব্যক্তির সামনেই তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে সহকর্মী শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগে মোনায়েম ভুঁইয়া, হৃদয় মিয়া, উসমান গণি বকুলসহ চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ২০-২২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্ত হৃদয় মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “কমিটি গঠন নিয়ে এরশাদ ফকিরের সঙ্গে সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়েছে, তবে সুপারকে মারধরের ঘটনা সত্য নয়।”
মোনায়েম ভুঁইয়াও দাবি করেন, তারা শুধু ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন, কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি। তবে কামরুল হাসান ফকির ও উসমান গণি বকুলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
ইএইচ