ফেনীর জয়নাল হাজারী কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

ফেনী প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৮:৩৪ পিএম
ফেনীর জয়নাল হাজারী কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

ফেনীর জয়নাল হাজারী কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা। তারা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধসহ চার দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন।

বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে কলেজ মাঠে জড়ো হয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে চার দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। 

এ সময় তারা ‘ক্যাম্পাস রাজনীতি, চলবে না চলবে না’, ‘দলীয় রাজনীতির ঠিকানা, এ ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ শ্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জয়নাল হাজারী কলেজে ছাত্র রাজনীতির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এটি কলেজের শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন শিক্ষার্থীদের দলীয় রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করা ও কমিটি গঠনের চেষ্টা করছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হচ্ছে এবং কলেজের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

তারা দাবি জানান

১. ক্যাম্পাসে সকল প্রকার গোপন ও প্রকাশ্য রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।

২. গত ১১ আগস্টের ঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।

৩. শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সৃষ্ট সংশয় দূর করতে কর্তৃপক্ষের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান।

৪. চার দফা দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।

অধ্যক্ষ মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, “শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি নিয়ে আমার কাছে এসেছে। কলেজটি যেহেতু দীর্ঘদিন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ছিল, গভর্নিং বডি থেকে শুরু করে শিক্ষকরা সবাই ক্যাম্পাস রাজনীতি মুক্ত রাখতে একমত। এ বিষয়ে আমরা গভর্নিং বডির সঙ্গে একটি সভা করব এবং আগামী রোববারের মধ্যে ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।”

উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর থেকে জয়নাল হাজারী কলেজে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গত ১১ আগস্ট একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল প্রার্থিতা ফরম বিতরণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে। এর পর থেকেই কলেজের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনের ডাক দেন।

ইএইচ