হোটেল রিলাক্সে অসামাজিক কর্মকাণ্ড: ৬ জন আটক, ৩ জনের জেল

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৫, ০২:২৪ পিএম
হোটেল রিলাক্সে অসামাজিক কর্মকাণ্ড: ৬ জন আটক, ৩ জনের জেল

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আলোচিত হোটেল রিলাক্সে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৬ তরুণ-তরুণীকে আটক করা হয়েছে। 

এর মধ্যে ৩ তরুণকে কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে এবং ৩ তরুণীকে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের পাশের আচমিতা ইউনিয়নে অবস্থিত হোটেল রিলাক্সে এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাবনী আক্তার তারানা। 

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়ে হোটেলের রাঁধুনি মো. শফিকুল ইসলামকে (২৫) তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, মো. হোসেন (১৯) ও পাপন সূত্রধরকে (১৯) এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আটক তরুণীরা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়।

ইউএনও মো. মাইদুল ইসলাম জানান, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং ৩ জনকে অভিভাবকের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এসব হোটেলকে ঘিরে অনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ছে, যেখানে স্কুল-কলেজপড়ুয়া তরুণ-তরুণীরা সহজেই জড়িয়ে পড়ছে।”

অভিযানের সময় হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালিয়ে যান। পরে হোটেলটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনের শিথিলতার কারণে হোটেল রিলাক্স অসামাজিক কর্মকাণ্ডের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, হোটেলের মালিক মাহাতাব উদ্দিন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এতে শুধু স্কুল-কলেজপড়ুয়া তরুণ-তরুণী নয়, পরকীয়াসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডও বেড়ে যাচ্ছিল।

অভিযানে ইউএনও ছাড়াও উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহকারী কামরুল ইসলাম এবং কটিয়াদী মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন।

স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হলে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে।

ইএইচ