জাবিতে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ, ছাত্রলীগের বাধা

রাবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম
জাবিতে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ, ছাত্রলীগের বাধা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রগতিশীল ৮টি বাম ছাত্রসংগঠন। 
এ সময় সরকার ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দিলে বিক্ষোভ মিছিলে এসে বাধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব ও তার অনুসারীরা।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সৈয়দ নজরুল প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে ‘জাবিতে ধর্ষক কেন, শেখ হাসিনা জবাব চাই’, ‘ধর্ষক তৈরির কারখানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’, ‘শিক্ষা-সন্ত্রাস, একসাথে চলে না’, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন, শেখ হাসিনা জবাব চাই’, ‘ছাত্রলীগের কালো হাত, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘রুখে দিতে ধর্ষণ, রাবি করো গর্জন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে সংগঠনগুলো। এমন সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব ও তার অনুসারী নেতাকর্মী সেখানে এসে ঘিরে ধরে এবং তাদের ‘আপত্তিকর’ স্লোগানের প্রতিবাদ করেন। তবে বিষয়টিকে গণতান্ত্রিক অধিকারে ‘বাধা’ প্রদান হিসেবে বলছেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ছাত্র সংগঠনগুলো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী’র সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা এক নারী ধর্ষণ করছে, এ ঘটনার প্রতিবাদে আমরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করি। এতে আমরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকি। এমন সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গালিব এসে আমাদেরকে বলে ছাত্রলীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া যাবে না। একটা গণতান্ত্রিক দেশে আমরা দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাব চাইতেই পারি। এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিষেধ করার কে? তিনি তার নেতাকর্মী দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারে বাধা প্রদান করেছেন। আমাদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করেছেন।

বাধা প্রদানের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব বলেন, জাবিতে ধর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। আমরাও এর প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু এর দায় তো ব্যক্তির, কোনো সংগঠনের নয়। তাই তারা যখন ছাত্রলীগ ও আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল আমি তার প্রতিবাদ করেছি এবং এটাও বলেছি তোমরা যতবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান দিবা, আমি ততবার তোমাদের সামনে এসে প্রতিবাদ করবো। এই বলে আমি চলে এসেছি। আমি তাদের কর্মসূচিতে কোনো ধরনের বাধা প্রদান করিনি।

বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ধর্ষণ করার জন্য চাই ক্ষমতা, তাদের ক্ষমতা থাকার কারণে তারা ধর্ষণ করে। সারাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করে তারা সবখানে দখলদারিত্ব করছে।

রাবি শাখা ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি রায়হান আলী বলেন, ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এসে ছাত্রলীগ আমাদের বাধা দিতে আসছে। আমাদের এখন বিচার দিতে হয় শেখ হাসিনাকে কারণ বিচারবিভাগ তার আয়ত্তে।

ইএইচ