ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বাধা, হুমকি ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন দৈনিক বাংলা পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির দপ্তর সম্পাদক সাকিব আসলাম।
এ ঘটনার পর তিনি নিজ নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগপত্রটি জমা দেন তিনি। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৯ এপ্রিল রাতে শাহ আজিজুর রহমান আবাসিক হলে সংঘটিত একটি মারধরের ঘটনার তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে যান। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ছাত্রদলের কর্মী তৌহিদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, শিক্ষার্থী সায়েম আহমেদ এবং কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী নূর-ই-আলমসহ কয়েকজন তার উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছনা করেন এবং পেশাগত কাজে বাধা দেন।
অভিযোগপত্রে সাকিব উল্লেখ করেন, ওই সময় তাকে উদ্দেশ করে অভিযুক্তরা বলেন, “তুই এখানে আসিস কীভাবে?”, “ওর ক্যামেরা ভেঙে ফেল”, “বের হ”, “আমি রাহাত বলছি—আপনি ঢুকতে পারবেন না”, “রিপোর্টার্স ইউনিটি কিভাবে থাকে দেখে নেব”, “তুই মারার পর ক্যামেরার ভয় দেখাস?”—এমন ভাষা ও আচরণে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ধরনের ঘটনা মুক্তচিন্তার পরিবেশ ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সাকিব আসলাম প্রক্টরের কাছে তার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার স্বাধীন পরিবেশ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, ৩০ এপ্রিল রাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্রদের বিরুদ্ধে ‘দুর্বৃত্ত’ আখ্যায়িত করা এবং ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আজিজুর রহমান হলে ক্যাম্পাস সাংবাদিক ওয়াসিফ আল আবরারের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। এই সময়েই সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক সাকিব আসলাম হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ উঠে।
ইএইচ