বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের একদফা দাবিতে প্রশাসনিক কার্যক্রম শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে তারা অবস্থান কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন।
সোমবার বেলা ১২টায় উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি শেষে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবন ও ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে শেষ হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন— “যে ভিসিরে পাই না, সেই ভিসিরে চাই না”, “এক দুই তিন চার, দালাল ভিসি গদি ছাড়”, “দফায় দফায় মামলা, এবার গদি সামলা”, “দফায় দফায় মামলা দেয়, ঢাকায় গিয়া কামলা দেয়” ইত্যাদি।
আন্দোলনকারীরা জানান, চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৬ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। তবে একাডেমিক কার্যক্রম (ক্লাস-পরীক্ষা) চালু থাকবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও জানান, জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় তারা এখনো দক্ষিণাঞ্চল অচল করেননি। তবে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে তারা আগামী দিনগুলোতে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ববি শাখার আহ্বায়ক রাকিব আহমেদ বলেন, “এই উপাচার্য গত আট মাসে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করে তুলেছেন। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করার দিনই তিনি তার পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন।”
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ বলেন, “উপাচার্যের স্বৈরাচারী মনোভাব ও প্রশাসনে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বারবার অনিয়মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দমন করার চেষ্টা করছেন। তাই তাকে অতিদ্রুত পদত্যাগ করতে হবে।”
উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল থেকে ‘স্বৈরাচারের পুনর্বাসন’ ও ‘জুলাই আন্দোলনের পক্ষে অবস্থানকারীদের হয়রানির’ অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। গতকাল তারা উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবি ঘোষণা করেন।
ইএইচ