চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলন এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত প্রতিবেদন পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানি ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদকে অব্যাহতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এর আগে, গত ৬ মে ইউজিসির পক্ষ থেকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিধি লঙ্ঘন ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ এনে একটি তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়।
ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কমিশনের অনুমোদন ছাড়া পিএ-টু-ডিসি পদে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের পরিপন্থী। এছাড়াও, সিন্ডিকেটের অনুমোদন না নিয়ে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের পিআরএল (অবসরোত্তর ছুটি) স্থগিত করে তাকে পুনরায় দায়িত্বে বহাল করা হয় এবং উপাচার্য নিজেই রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন—যা 'বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬'-এর ১১ ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বর্তমান উপাচার্যের প্রশাসনিক দক্ষতায় ঘাটতি রয়েছে এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিধিমালা সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন নন।
উল্লেখ্য, উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। আন্দোলনের একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে তালা লাগিয়ে দেন। এ আন্দোলনে শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয় কমিউনিটির অনেকেই একাত্মতা প্রকাশ করেন।
ইএইচ