লংমার্চ টু যমুনা

যমুনার পথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
যমুনার পথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

আবাসন সংকট, বাজেট কাটছাঁট এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পে অগ্রগতি না থাকায় আন্দোলনে নেমেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এসব দাবিতে তাঁরা আজ বুধবার যাত্রা শুরু করেছেন ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে।

সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বর্ণাঢ্য মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা রওনা দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র উদ্দেশে। সেখানে গিয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।

শিক্ষার্থীদের ৩ দাবি হলো—
১. আবাসন সুবিধা না থাকা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু করতে হবে, যা ২০২৫–২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কোনো ধরনের কাটছাঁট ছাড়াই অনুমোদন করতে হবে।
৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দিতে হবে এবং অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

এর আগে মঙ্গলবার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল ইউজিসি কার্যালয়ে গিয়ে দাবি তুলে ধরলেও সেখান থেকে কোনো ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এদিকে লংমার্চে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারাও। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী আবাসন না থাকায় শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ চরম দুর্ভোগে পড়ছে। বাজেট বরাদ্দেও প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অগ্রগতি নেই বললেই চলে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ‘প্রয়োজনে অনশনেও যাব, কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’ শিক্ষক নেতারাও বলছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায্য দাবি নিয়ে আমরা এক কাতারে।’

এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দাবি গুলো যৌক্তিক এবং বাস্তবায়নের জন্য তারা নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সর্বোচ্চ যোগাযোগ রাখছে। তবে দীর্ঘদিনের অবহেলায় যে ক্ষোভ জমে আছে, তা লংমার্চের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

বিআরইউ