জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শফি মুহাম্মদ তারেক বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স (বিএএস)-এর ফেলো নির্বাচিত হয়েছেন। তার এই অসাধারণ অর্জনে অভিনন্দন জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
মঙ্গলবার (শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সোহেল রানা এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইরীন আখতার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিনন্দন জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৮ মে অনুষ্ঠিত বিএএস কাউন্সিলের সভায় অধ্যাপক তারেকের নাম চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক তারেকের এ অর্জনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত।
অধ্যাপক ড. শফি মুহাম্মদ তারেক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানে এমএস এবং ডক্টর অব সায়েন্স (ডিএসসি) ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিজিসিএইচই সম্পন্ন করেন এবং জাপানিজ সোসাইটি ফর দ্য প্রমোশন অব সায়েন্স-এর পোস্টডক্টরাল ফেলো ও যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ একাডেমিক ফেলো হিসেবে গবেষণা কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন।
তিনি নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বায়োসায়েন্সে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে এবং জাপানের হোক্কাইডো ও শিগা প্রিফেকচার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং গবেষক হিসেবে কাজ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ‘হাইড্রোবায়োজিওকেমিস্ট্রি ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন।
অধ্যাপক তারেক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জার্নালে ১৫০টির বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন (h-index ৩৫, i10-index ৭৩)। ২০১৩ সালে তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স ও থার্ড ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। তিনি যুক্তরাজ্যের রয়েল কেমিক্যাল সোসাইটির ফেলো এবং চার্টার্ড এনভায়রনমেন্টালিস্ট হিসেবেও স্বীকৃত।
তিনি Frontiers in Earth Science, Sustainability, Frontiers in Waterসহ বেশ কিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে সম্পাদক, সম্পাদকীয় বোর্ড সদস্য ও অতিথি সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর গবেষণার আলোকে “Lignin Molecular Biogeochemistry: Principles and Practices” শীর্ষক একটি বইও প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক ড. শফি মুহাম্মদ তারেকের এই অর্জনে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাঁর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং গবেষণা ও সৃজনশীল কার্যক্রমে আরও সফলতা কামনা করা হয়।
ইএইচ