ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা, ব্যক্তিগত কক্ষে ডেকে যৌন হয়রানি এবং শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার (২২ জুন) বিভাগের প্রায় ২৪ জন শিক্ষার্থী ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে বিভাগের সব কার্যক্রম থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একে এম নাজমুল হুদা।
অভিযোগ পত্রে উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মেয়েদেরকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করা যেমন মেয়েদের ফোনে হ্যারাজমেন্ট, ক্লাসরুমে মেয়েদেরকে তাদের ব্যক্তিগত জীবন, বিবাহিত মেয়েদের বিবাহিত জীবন, কনজ্যুগাল লাইফ নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা, চেম্বারে ডেকে নিয়ে হয়রানি, শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার, টিউটোরিয়ালের মার্ক ও এটেন্ডেন্সের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতিসহ নানা অভিযোগ দেন।
অভিযোগ পত্রে তারা আরও উল্লেখ করেন, "কোনো মেয়ে তার কুপ্রস্তাবে রাজি হবে না এমনটা বুঝতে পারলে ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আক্রমণাত্মক কথা বলে এবং পরীক্ষার কোর্সের খাতায় 'দেখে নেবো' বলে হুমকি দিয়ে ভয় ধরিয়ে দেন যাতে তার কুপ্রস্তাবের বিষয়ে মেয়েরা বাইরে আর কথা বলার সাহস না করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরা নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য চুপ থাকায় এতদিন উনার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কেউ করেনি।"
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কোনো শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করিনি। হয়তো আমার কথা তারা ভুলভাবে নিয়েছে। কখন কী বলছি এখন বলতে পারছি না। তবে এটি পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক মনে করছি।’
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. একে এম নাজমুল হুদা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দেয়। গত ২৯ তারিখ আমরা অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত আপাতত তিনি বিভাগের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন। পরে তদন্ত কমিটি হবে, তখন কোন সেকশন পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা দেখে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।’
ইএইচ