প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৫, ০৮:১০ পিএম
প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার (২৬ জুন)। এ পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নফাঁস ও গুজব ঠেকাতে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, বুধবার (২৫ জুন) মধ্যরাত থেকে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে হবে। আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত কোনো কোচিং সেন্টার খোলা রাখা যাবে না।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়। সম্প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ২৫ জুন থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁস সংক্রান্ত গুজব ও পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থীদের কাছে নকল সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পরীক্ষায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীও দায়িত্ব পালন করবে।

পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে এবং এ সময়ের পর কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী এর পরে প্রবেশ করলে রেজিস্টারে তাদের নাম, রোল, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করে পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করতে হবে।

এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনো কক্ষে পরীক্ষা বিলম্বে শুরু হলে, যত মিনিট পরে পরীক্ষা শুরু হবে- পরীক্ষার্থীদের ততটুকু সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে ১১ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ফরম পূরণ করেছেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ও ছাত্রী ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন।

আরএস