এইচএসসি পরীক্ষা শুরু বৃহস্পতিবার, অংশ নিচ্ছে সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু বৃহস্পতিবার, অংশ নিচ্ছে সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি), আলিম ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন।

পরীক্ষা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৮২ হাজার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি, আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজার, আর কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার্থী এক লাখ ৯ হাজারেরও বেশি। দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

নকল ও প্রশ্নফাঁস রোধে এবারও নেওয়া হয়েছে কঠোর নজরদারি ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতের উদ্যোগ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, সিসিটিভি স্থাপন, প্রশ্ন আনার সময় পুলিশ ও ট্যাগ অফিসার উপস্থিতি নিশ্চিত করা, মোবাইল ফোন নিষিদ্ধসহ বেশ কয়েকটি কড়া নির্দেশনা কার্যকর করা হয়েছে।

ঢাকা বোর্ড জারি করেছে ৩৩ দফা নির্দেশনা। এর মধ্যে রয়েছে— প্রতি ২০ শিক্ষার্থীর জন্য একজন পরিদর্শক, পরীক্ষার তিন দিন আগেই প্রশ্ন খামে সিল করে সংরক্ষণ, সকালেই নির্ধারিত সেট খোলা এবং অব্যবহৃত প্রশ্নপত্র ফেরত পাঠানোর নির্দেশ।

পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে পৌঁছানো, ওএমআর শিটে তথ্য সঠিকভাবে পূরণ, উত্তরপত্র ভাঁজ না করা, শুধু সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার, মোবাইল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, তত্ত্বীয়, এমসিকিউ ও ব্যবহারিক আলাদাভাবে পাস করতে হবে—এমন ১০টি নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এ ছাড়া পরীক্ষা নেওয়া হবে স্থানান্তর কেন্দ্রে, অর্থাৎ কেউ নিজের স্কুল-কলেজে পরীক্ষা দিতে পারবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে শুধুমাত্র কাঁটা ঘড়ি ব্যবহার করা যাবে। বর্ষাকালের ঝুঁকি বিবেচনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক খন্দকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে।

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রপ্রবেশের সময় সবার জন্য মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সরকার জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে বাড়তি নজরদারি, যাতে কোনো গুজব বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয় পরীক্ষার্থীরা।

বিআরইউ