মিয়ানমারে সামরিক জান্তা-বিরোধী দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর তুমুল সংঘর্ষের জেরে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী ভারতের মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন।
সোমবার রয়টার্স এক প্রতিবেদনে ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায়।
ভারতের এক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, ২ জুলাই মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় চিন রাজ্যে কৌশলগত এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চিন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স ও চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স–হুয়ালংরাম নামের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সেই থেকেই চিন রাজ্য থেকে শরণার্থীদের মিজোরামে প্রবেশের ঢল নামে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, “সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে প্রায় ৪ হাজার শরণার্থী মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন। শুধুমাত্র চাম্পাই জেলার জোখাওথার ও সাইখুমফাই গ্রামেই রোববার রাত পর্যন্ত ৩ হাজার ৯৮০ জন শরণার্থীকে নথিভুক্ত করা হয়েছে।”
মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সাপদাঙ্গা রয়টার্স-কে বলেন, “চিন রাজ্যের সংঘর্ষ আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। মানুষ নিরাপত্তার খোঁজে চলে এসেছে এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা তাদের পানি, খাদ্য ও আশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছি।”
তিনি আরও জানান, বাস্তব পরিস্থিতি অনুযায়ী শরণার্থীর সংখ্যা ৩ হাজারের মতো হতে পারে এবং তা প্রতিদিন বাড়ছে।
উল্লেখ্য, ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সঙ্গে মিয়ানমারের চিন রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে। দুটি অঞ্চলের জনগণের মধ্যে রয়েছে ঘনিষ্ঠ জাতিগত ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিজোরাম সরকার হাজার হাজার মিয়ানমার নাগরিককে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে রয়টার্স মিয়ানমারের জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
সূত্র: রয়টার্স
ইএইচ