পায়ে ব্যথা বা টান ধরা বিষয়টি আমরা সাধারণত হেলাফেলা করি। অনেকেই মনে করেন, এটি কেবলমাত্র পেশির ব্যথা বা বাতের সমস্যা। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, এ ব্যথার নেপথ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে আরও বড় বিপদ—শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা কিংবা হৃদ্রোগের পূর্বলক্ষণ।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষণা অনুযায়ী, আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যায় ধমনীর মাধ্যমে। কিন্তু কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে ধমনীর ভেতরে স্নেহ পদার্থ জমে আস্তরণ (প্লাক) তৈরি হয়। এর ফলে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। দেহের প্রান্তিক অঙ্গগুলির ধমনীর এ সমস্যা পরিচিত পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ (PAD) নামে। এই অবস্থায় পায়ে ফোলা, প্রদাহ ও তীব্র যন্ত্রণা দেখা দেয়। গবেষকেরা সতর্ক করে বলছেন, PAD অনেক সময় হৃদ্রোগের আগাম সংকেত হিসেবেও কাজ করে।
কারা বেশি ঝুঁকিতে?
‘ন্যাশনাল হার্ট, লাং অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউট’-এর তথ্য অনুযায়ী, ডায়াবেটিস ও উচ্চ কোলেস্টেরলে ভোগা মানুষদের মধ্যে PAD-এর ঝুঁকি অনেক বেশি।
-
আমাদের দেহে প্রধানত দুটি কোলেস্টেরল থাকে—HDL (ভালো কোলেস্টেরল) ও LDL (খারাপ কোলেস্টেরল)।
-
LDL বেড়ে গেলে রক্তনালিতে জমাট বাঁধে, ফলে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
-
সাধারণভাবে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ২০০ মিলিগ্রামের মধ্যে থাকা উচিত। তা ২৪০ ছাড়ালে ঝুঁকি বাড়ে।
অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের কারণে শুধু পায়ের পেশি নয়, শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। PAD থেকে পরবর্তী সময়ে করোনারি আর্টারি ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়, যা হার্টের রক্তপ্রবাহ ব্যাহত করে এবং হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত করে তোলে।