‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আরপিওর সংশোধনী সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
মো. সানাউল্লাহ বলেন, “আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে স্বতন্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইভিএম বাতিল এবং ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ফল স্থগিত ও বাতিলের পর পুনঃস্থাপনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে কমিশন এক বা একাধিক বা সব ফল বাতিল করতে পারবে।”
ভোটের সময় সংবাদকর্মীদের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গণমাধ্যমকর্মীরা ভোট গণনার পুরো সময় কেন্দ্রে থাকতে পারবেন, মাঝপথে বের হতে পারবেন না।”
তিনি আরও বলেন, “প্রার্থীর অডিট রিপোর্ট সুনির্দিষ্টভাবে করা হয়েছে, যা প্রয়োজনে ইসি করতে পারবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অপব্যবহার রোধে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
এছাড়া রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম বা নিবন্ধন স্থগিতের বিষয়টিও আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, “হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। নির্বাচনের পরও এ বিষয়ে সুপারিশ করা যাবে। একজন প্রার্থী কতটি আসনে নির্বাচন করতে পারবেন, তা কমিশনের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।”
ইএইচ