‘চাল-ডালের দাম বেঁধে দেওয়ার এখতিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেই’

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২, ০৩:৪৩ পিএম
‘চাল-ডালের দাম বেঁধে দেওয়ার এখতিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেই’

অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় গত ৩১ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৫ দিনের মধ্যে চাল, আটা, ডাল, তেল, চিনি, ডিম, রড ও সিমেন্টের দাম বেঁধে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। 

নির্ধারিত সময় পার হওয়ার একদিন পরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানালেন,  ২০১৮ সালের এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চাল, আটা, ডাল ও ডিমের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের।ভোজ্যতেল ও চিনি ছাড়া অন্য পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার এখতিয়ার তার মন্ত্রণালয়ের নেই। 

ফলে এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ নিয়ে এখন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সংগঠন ‘ওকাব’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত থেকে ডিম আমদানি করা হবে কিনা তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। বাজার অস্বাভাবিক হলে আমদানির দিকে যেতে হতে পারে। তবে ভোক্তাদের কথা বিবেচনার পাশাপাশি উৎপাদকদের কথাও ভাবতে হবে। এতে কর্মসংস্থান ও ব্যাংক লোন জড়িত।

মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যে যাবে না, তা এখন বুঝা যাচ্ছে। যদিও প্রথমে তাদের মানবিক কারণে জায়গা দেওয়া হয়েছিল। 

রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার মাধ্যমেই মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। মিয়ানমারে কিছু গার্মেন্টস বন্ধ হওয়ায় আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সেপা চুক্তি নিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ডিসেম্বর নাগাদ দুই পক্ষ বসে ভারতের সঙ্গে সেপা চুক্তির বিষয়ে সমাধান করা হবে। ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে পিটিএ-এফটিএ চুক্তি করার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ থাকলেও তা আমাদের বাণিজ্যে প্রভাব ফেলবে না। গতবারের তুলনায় এবার ২০ শতাংশ বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ডলারের মূল্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা চাই রেডিমেড গার্মেন্টস তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখুক। 

পাশাপাশি আইসিটি ও চামড়া খাতে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। ১০টি আইটেমের উৎপাদন বাড়াতে পারলে আমাদের রপ্তানি বাড়ব। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি এটি বাড়াতে।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় ডলারের বাজারের অস্থিরতা, ভারত ও চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, মিয়ানমারেও আগ্রাসন, এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।

 

টিএইচ